বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠন প্রয়োজন: ১৪ দল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তরা এই দাবি জানান।
সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভাপতিত্ব করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।নেতারা বলেন, এই হত্যার পিছনে কারা ছিল? কারা খুনিদের পরিচালনা করছে? এদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে। এই হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সূচনা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জক, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জাহান কল্পনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রের তীব্র বৈরী স্রোত মোকাবিলা করে আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভীষ্ট লক্ষ্যে। দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতার মঞ্চে পালাবদলে আজ বাংলাদেশের একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী উৎসাহিত হচ্ছে, উল্লসিত হচ্ছে। আজকে আবার তাই মনে করি সামনের দিনগুলোতে ষড়যন্ত্রের তীব্র স্রোত আরও বৈরী হবে।
তিনি বলেন, দুর্যোগের সংকটে পরীক্ষিত মানবিক নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার সুবর্ণ রেখা। ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি সৃষ্টির পতাকা ওড়ান।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে করোনা সংকট মোকাবিলায় তার নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। যত ষড়যন্ত্রই হোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এগিয়েই যাবে ইনশাআল্লাহ।আব্দুর রাজ্জক বলেন, কারা এই হত্যাকান্ডের পিছনে জড়িত, কারা খুনিদের পরিচালনা করেছেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। জিয়াউর রহমান অন্তরালে থেকে এই হত্যাকান্ড পরিচালনা করেছেন এই ’৭৫ পরবর্তী তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জিয়াউর রহমান যদি এই হত্যার সাথে জড়িত নাই হবেন তাহলে কেন তিনি খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। তদন্ত কমিশন গঠন করে এই হত্যার ইন্ধন দাতাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে।
আব্দুর রহমান বলেন, সকলের কাছে স্পষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত। এই হত্যাকান্ডের পর জিয়া যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন তাতেই স্পস্ট হয় এই হত্যার সাথে জিয়া জড়িত।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিছু আসামীর রায় কার্যকর হয়েছে, এখনও কিছু আসামী বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে আমরা চাই এই আসামীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হোক। একই সাথে দাবী জানাই এই হত্যার পিছনে কারা জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচিত করা হোক।’তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি এই হত্যার পিছনে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়েই এটা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি যদি জড়িত নাই হবেন, তাহলে কেন ইনডেমিনিটি জারি করবেন? কেন খুনিদের পুরস্কৃত করবেন?’
আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নীল নকশার সাথে দেশে ও দেশের বাহিরে যারা জড়িত, যারা অপশক্তিকে সাহস যুগিয়েছে, পরবর্তীতে খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল এদের মুখোশ উন্মোচিত করা দরকার।এই খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে।