বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নেয়া বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে: কাদের

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বাংলার ইতিহাস যেমন অর্জনের,তেমনি বিশ্বাসঘাতকতারও।১৫ আগস্টের ন্যক্কারজনক ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।যদিও যে বুলেট আমাদের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিয়েছিল,সেই বুলেটই পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় যুক্ত হন।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, ইউএস-বাংলা গ্রুপের সিইও লে. জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম (অব.) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বক্তব্য দেন।সভায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণমাধ্যমে দেখেছি তারা নাকি আজ কেক কাটবে না। সত্যিই যদি তাদের এই শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে, তবে ধন্যবাদ।তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এক সূত্রে গাঁথা। কিন্তু ইতিহাস কোনো অপারাধীকেই ক্ষমা করেনি। আজ অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলেন। কিন্তু তারা কি আজ পর্যন্ত কোনো হত্যার বিচার করতে পেরেছে? পারেনি। বরং ২১ আগস্টের ঘটনাকে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। সুতরাং মানবাধিকারের কথা তাদের মুখে মানায় না।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, হাজার বছরের এই বাংলায় অনেকেই সংগ্রাম করেছেন, যুদ্ধ করছেন। কিন্তু আন্দোলন করে বাঙালির মুক্তি একমাত্র বঙ্গবন্ধুই এনে দিয়েছেন। তিনি বাঙালি জাতিসত্ত্বার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অথচ কাপুরুষরা তাকে বাঁচতে দেয়নি। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিকসহ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকারের সফলতার নানা দিক আলোচনা করেন।লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির কাণ্ডারি। হুমকি-জুলুম-কারাবাস কোনো কিছুকেই তিনি তোয়াক্কা করেননি। তাই আমাদের উচিত- তার প্রতিটি কথা, আকাঙ্ক্ষা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইন শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক দুর্যোগ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে গভীরভাবে ভাবতেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বিশ্বাস করতেন একটি জাতির এগিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তার সেই চিন্তার প্রতিফলন আমরা আজও নানাভাবে দেখতে পাই।সভাপতির বক্তব্যের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেটা যেমন দেশীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল, তেমনি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও। আর এভাবেই তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির মুক্তি এনে দিয়েছিলেন।সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারপার্সন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির।

You might also like