বন্ধ পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
জাতীয় সংসদ ভবন থেকেঃ বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশের পাটকলগুলোকে সময়োপযোগী ও আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন,আমরা এটাকে নতুনভাবে করব,এখানে যারা আগ্রহী তাদেরকে আমরা আবার ট্রেনিং দেব।ট্রেনিং দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে তাদেরকে তৈরি করব।পাটকল চালু হলে অভিজ্ঞতা যাদের আছে, তারাই নতুন করে চাকরি পাবে।আজ বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক বছর ধরে এ পাটকলগুলোর ২৫ হাজার শ্রমিককে সরকারের পক্ষ থেকে বেতন দেওয়া হচ্ছে।বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) দিতে পারছে না।সরকারের পক্ষ থেকে এভাবে বছরের পর বছর বেতন দিয়ে যেতে হবে। এ পাটকলগুলো সবচেয়ে পুরোনো ৫০ ও ৬০ এর দশকে এগুলো স্থাপন করা হয়েছিলো। এগুলো আর লাভজনক করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী এ বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এ পাটকলগুলোকে সময়োপযোগী ও আধুনিক করতে হবে।আমরা সেটা কররো। শ্রমিকদের পাওনা ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা পরিশোধ করবো। সব টাকা তাদের হাতে দেওয়া হবে না। দিলে খরচ হয়ে যাবে। অর্ধেক টাকা আমরা তাদের সঞ্চয়পত্র করে দেবো। এতে তারা প্রতিদিনের মজুরির চেয়ে বেশি পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলেছি অর্ধেকটা সঞ্চয়পত্র করে দেব। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, যেখানে তারা ১১ শতাংশের মতো মুনাফা পাবে। এ জন্য সব টাকা তাদের হাতে দেব না। কারণ নগদ টাকা দিয়ে দিলে তখন দেখা যাবে মেয়ের জামাই, ভাই, ভাতিজা, আত্মীয়-স্বজন সব এসে হুমড়ি খেয়ে পড়বে এবং ভাগ চাইবে।বাংলাদেশ পাটের জন্মরহস্য উন্মোচন, গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেগুলো আমাদের উৎপাদন করতে হবে। সেগুলো আমাদের দেশের কাজে লাগবে, বিদেশে রফতানি হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য যেহেতু সিনথেটিক থেকে সকলেই এখন মুক্তি চায় সেখানে পাট হচ্ছে একটা বিকল্প। সেখানে আমাদের একটা বিশাল সম্ভাবনা বিশ্বব্যপী রয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সময়োপযোগী করতে হবে, আধুনিক করতে হবে, নতুন করতে হবে।এর আগে ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজেএমসির পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকদের এককালীন পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।