বন্যার পানিতে ভেঙ্গেছে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে এলজিইডির ৮৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা চলাচলের জন্য বড় বড় ভাঙনে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করেছেন। আর এ সাঁকোগুলো দেখে মনে হয় যেন কোনো খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। যাতায়াতে দুর্ভোগ কমাতে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় ও এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বন্যার পানির স্রোতে উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারি, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সড়ক ভেঙে লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সড়কগুলো হচ্ছে হচ্ছে, লামাকাজী ইউনিয়নের আতাপুর-আকিলপুর-খাজাঞ্চি সড়ক, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে সংযোগ লামাকাজী গ্রামীণ ব্যাংক-সাঙ্গিরাই মুল্লারগাঁও রেলস্টেশন সড়ক। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের জনবহুল বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চি-কামালবাজার সড়ক। ওই সড়কের খাজাঞ্চি রেলস্টেশন বাজারের পাশসহ ৬টি স্থানে পানির স্রোতে খাল হয়ে পড়েছে। এ সকল খাল বর্তমান চেয়ারম্যান আরশ আলী গণির ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ইটের খোঁয়া দিয়ে ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।আর দৌলতপুর ইউনিয়নের সড়কগুলো হচ্ছে, বৈরাগী-সিঙ্গেরকাছ সড়কের রহমান নগর নামকস্থান, বৈরাগী-সিঙ্গেরকাছ সড়কের সঙ্গে সংযোগ গোয়াহরি-দশপাইকা ও সিঙ্গেরকাছ-দশপাইকা-নকিখালি সড়ক। এরমধ্যে সিঙ্গেরকাছ-দশপাইকা নকিখালি সড়কের উজাইজুরি ও মৌলভীগাঁও গ্রামের পাশের সড়কটি বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় ভাঙন হয়েছে। এছাড়া গোয়াহরি-দশপাইকা সড়কের গোয়াহরি গ্রামের পাশেও বড় একটি ভাঙন রয়েছে। ফলে এসব ভাঙনে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদের দাবি, বন্যায় উপজেলার ২৬টি সড়কের প্রায় ৮৫ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। তবে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পুরোপুরিভাবে পানি কমে গেলে জানা যাবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠাবেন বলে জানান তিনি।