বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
অ্যাডিলেড: পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় তুলে নেয়ার পর ভারতের চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ম্যাচ হেরে। যদিও তাতে টিম ইন্ডিয়ার সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। বরং ভারত এখনও গ্রুপ-২ থেকে শেষ চারে জায়গা করে নেয়ার প্রবল দাবিদার।এ অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয় তুলে নিতে মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। সাকিবদের কাছে হারলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে তাদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের সামনেও খোলা রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা। তবে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন যে, তারা বিশ্বকাপ জিততে আসেননি। সুতরাং বাংলাদেশের হারানোর কিছুই নেই এই ম্যাচে। পাওয়ার আছে অনেক কিছুই!এমনই উত্তেজনার ম্যাচে টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। ভারতীয় বাঘা বাঘা ব্যাটারদের বিপক্ষে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করলেও দ্রুতই মানিয়ে নিয়ে খোলস ছেড়ে বের হন রাহুল-কোহলিরা। দলীয় মাত্র ১১ রানে রোহিতকে (২) হারালেও দু’জনেই তুলে নেন দাপুটে ফিফটি।
এরমধ্যে মাত্র ৩১ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে পরের বলেই রাহুল আউট হলেও কোহলি খেলেন অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস। এ নিয়ে চার ম্যাচে তিনটি ফিফটি পেলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। তার ৪৪ বলের দুর্দান্ত এই ইনিংসে ছিল ৮টি চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মার।এই দু’জন ছাড়াও ভারতের হয়ে এদিন বাংলাদেশের বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেন সূর্যকুমার যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করে যাদব আউট হলেও অশ্বিন অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১৩ করে। যাতে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারালেও ১৮৪ রানের বড় স্কোরই গড়ে ভারত।চার পেসার নিয়ে খেলতে নামা টাইগার বোলারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে বেশি ঝড় বয়ে যায় শরিফুলের ওপর দিয়ে। একটি ওভারে ২৪ রান দেয়া বাঁহাতি এই পেসার চার ওভারে দিয়েছেন ৫৭ রান, তবে পাননি কোনও উইকেট। এদিন উইকেটহীন থাকেন সেরা দুই পেসার তাসকিন ও মুস্তাফিজও। তবে প্রথমজন মাত্র ১৫ রান এবং দ্বিতীয়জন দেন ৩১ রান।তবে ৪৭ রান দিয়েও ৩টি উইকেট নেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। আর ৩৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাকিব আল হাসান।