বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
সিলেট: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশীয় শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।তিনি বলেন,‘আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের যে ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করতে দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী আজ শুক্রবার সিলেট মহানগরীতে ‘সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।‘আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলের অনেক মনীষী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন। বিশেষ করে হাসন রাজা ও শাহ আব্দুল করিমের গান এবং তাঁদের সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত এসব গুণীজন একাধারে গান রচনা, সুরারোপ, সংগীত চর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। সে কারণে তাঁদের সৃষ্টি অনন্য এবং অমর হয়ে আছে।তিনি বলেন, ‘শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনর মতো অনেক গুণীজন তাঁদের অনন্য সৃষ্টি রেখে গেছেন। এদের মতো করে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় মনোনিবেশ করলে আমাদের সংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ যাঁরা শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন এবং আগামীতে যারা পাবেন তাঁরা এসব সৃষ্টিশীল কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার আমাদেও সংস্কৃতি চর্চায় সবধরনের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন জেলা, উপজেলাপর্যায়ে শিল্পকলার নিয়মিত কর্মকান্ড আয়োজনে সরকারি ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে। গুণিজনদের কাজের সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা সংস্কৃতি কর্মীদের উৎসাহিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিল্পকলা একাডেমি সিলেট জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ৫ গুণিজনের হাতে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২’ তুলে দেন। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, লোকসংস্কৃতিতে মিহিরকান্তি চৌধুরী, কণ্ঠসংগীতে পূর্ণিমা দত্ত রায়, নাট্যকলায় চম্পক সরকার, আবৃত্তিতে জ্যোতি ভট্টাচার্য, যন্ত্রসংগীতে (বাঁশি) মোঃ মিনু মিয়া।অনুষ্ঠানে সিলেটের গুণীজন, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।