বিএনপি অফিসে ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’, চেনে না মার্কিন দূতাবাস
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর হঠাৎ খবর ছড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয়ে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়ান আরাফী নামের এক ব্যক্তি। মূলত তাকে নিয়েই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে এমন ব্যক্তিকে চেনে না ঢাকায় অবস্থিত খোদ মার্কিন দূতাবাস।শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে দূতাবাস থেকে জানানো হয়, এ ধরনের খবর পুরোপুরি গুজব।রাতে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আজ নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে পুলিশের হামলা, টিয়ারগ্যাস ও গুলির পর সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিয়ে যিনি সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রেখেছেন তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি গোচরে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন এ বিষয়ে বিএনপি একেবারেই অবগত নয় এবং এই ব্যক্তির বিষয়ে দূতাবাস থেকে কোনো রকম পূর্বধারণা মহাসচিবকে অবগত করা হয়নি, বিধায় বিএনপি তার বক্তব্যের বিষয়ে কোনোভাবেই অবহিত নয়।এর আগে সন্ধ্যার পর কয়েকটি গণমাধ্যম বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও ওই ব্যক্তির একটি ভিডিও নিয়ে খবর প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি রঙের শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি ইংরেজিতে কথা বলছেন। পাশে বসে আছেন ইশরাকসহ আরো কয়েকজন।ওই ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তার নাম মিয়ান আরাফি বলে দাবি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, সংঘর্ষের পর অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। হাসপাতালে আমি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং অন্যদেরও খোঁজখবর নিই। পরে আরো কিছু নেতাকর্মী আহতাবস্থায় বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে শুনে তাদের খোঁজখবর নিতে সেখানে যাই। তার পরপরই সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোহরাওয়ার্দী দুই ব্যাক্তিকে নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।এসময় তার (হাসান সোহরাওয়ার্দী) সাথে আসা একজন নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। আহতদের সাথে কথাও বলতে চান। আহতরা সেসময় কার্যালয়ের নিয়মিত ব্রিফিং কক্ষেই অবস্থান করছিলেন। তাই তাদের সাথে কথা বলার পর সেখানে থাকা সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলেন তিনি।ইশরাক হোসেন বলেন, ওই সময় আমাকেও বসতে বললে সে পরিস্থিতিতে তাদের সাথে আমিও অংশ নেই। এর বাইরে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আমি আর তেমন কিছু জানি না।