বিএনপি নেতা ড. মামুন রহমান আর নেই
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমান এফসিএ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় লন্ডনে একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।ড. মামুন রহমানের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জনকল্যাণে এবং সৃজনশীল কাজে ড. মামুন রহমান অতুলনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। লন্ডনে জীবন যাপন করেও দেশমাতৃকার টানে নিজ এলাকায় গিয়ে অতি সহজেই তিনি গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সাথে আত্মার সম্পর্ক তৈরী করতে পেরেছিলেন। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পবিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
পৃথক শোকবার্তায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. মামুন রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুদীর্ঘকাল বিদেশে অবস্থান করে শেকড়ের টানে নিজ এলাকায় নিভৃত পল্লীতে ফিরে এসে এলাকার কল্যাণে ও জনসেবায় ড. মামুন রহমান যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অতুলনীয়। রাজনীতির পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন, জনসেবা, সমাজ সেবা এবং মানবাধিকার রক্ষায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। নিজ রাজনৈতিক বিশ্বাসে অটল থেকে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা এবং রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, ড. মামুন রহমানের মৃত্যুতে তার এলাকাবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আমরাও শোকাহত। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, বিএনপির রাজনীতি এবং জনকল্যাণে তার অবদান বিএনপি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
দীর্ঘদিন বিদেশে থাকাবস্থায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেট ড. মামুন রহমান দেশ ও জাতির সেবার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশে এসে নিজ এলাকা খুলনার ফুলতলার জামিরা ইউনিয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ শুরু করেন এবং জামুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।তিনি ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউপি চেয়ার্যমান ছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের কল্যাণে ব্যাপকভাবে কাজ করেন। তিনি একজন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ, লেখক এবং গবেষণা কাজের সঙ্গেও সংযুক্ত ছিলেন। তার লেখা ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি অন্য লেখকদের বইও প্রকাশ করেছেন।