বিয়ের আগের দিন বিদ্যুতায়িত হয়ে বরের মৃত্যু
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বিয়ের সব আয়োজন শেষ। আত্মীয়-স্বজনরাও এসেছেন বিয়ে উপলক্ষে। আনন্দ-উৎসব চলছে বাড়িতে। শনিবার রাতে গায়ে হলুদ হওয়ার কথা। বর সেজে রোববার দুপুরে বউ আনতে যাওয়ার কথা আব্দুর রহিমের (২৮)। কিন্তু এক নিমেষেই তছনছ হয়ে গেছে সব আয়োজন। ১০ জুন শনিবার দুপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বর আব্দুর রহিম। নিহত আব্দুর রহিম মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
রাজনগর থেকে সংবাদদাতা জানান, একই উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে কিছুদিন আগে আব্দুর রহিমের বিয়ে ঠিক হয়। রোববার তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য আলোকসজ্জার বাতি লাগানো হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে আলোকসজ্জার একটুকরো তার ঝুলতে দেখে সরাতে যান রহিম। একপর্যায়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রহিমের খালাতো ভাই দিপু মিয়া তাকে তুলতে গেলে তিনিও বিদ্যুতের ঝটকায় পড়ে যান। দিপু বুঝতে পেরে বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তুদিয়ে আঘাত করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে চিৎকার করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে, উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলছেন ডেকোরেটার্স কর্মীরা।নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝটকায় নিচে পড়ে যাই। পরে উদ্ধার করে সিলেট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ডাক্তাররা জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।রাজনগর থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় বলেন, একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। পরিবারের কেউ এখনো অভিযোগ করেননি।