বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর শোক: আই অ্যাম ডিপলি সরি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বৃটিনে করোনা মহামারিতে এক লাখের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এটা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে বেদনায় কুঁকড়ে গেলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মাথা নত করে রইলেন তিনি। বেদনা প্রকাশের এমন ছবি বুধবার বৃটেনের বেশির ভাগ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ হয়েছে। বৃটেনে মঙ্গলবার এই মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জনসন তা জানান দিতে সংবাদ সম্মেলনে মাথা নত করে ছিলেন।
এ নিয়ে বৃটেনের পত্রিকাগুলোর বেশির ভাগেই বরিস জনসনের মুখের ভাষা ব্যবহার করেছে শিরোনাম হিসেবে। তাতে বলা হয়েছে- আই অ্যাম ডিপলি সরি।যার অর্থ আমি গভীরভাবে বেদনাহত। ওদিকে দ্য টাইমস এবং ‘দ্য আই’ পত্রিকার প্রচ্ছদে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কিছু সংখ্যকের ছবি প্রকাশ করেছে। দ্য আই তার রিপোর্টে বলেছে, করোনা ভাইরাসে মাত্র ১০ মাসের মধ্যে এক লাখ মানুষ মারা যাবেন। বিষয়টি অকল্পনীয়। দ্য ডেইলি মিরর তার প্রতিবেদনে লিখেছে, মৃতদের এই সংখ্যা হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে।আমরা কখনো ভাবিনি এত বড় সংখ্যায় পৌঁছে যাব। দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, এটা এক বিয়োগান্তক সংখ্যা। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইন লিখেছে, হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। এ এক ধারণাতীত সংখ্যা।
তবু এ সংখ্যা চলমান। এই মহামারি বৃটেনকে কিভাবে বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে, তারই বাস্তব প্রকাশ এই সংখ্যা। যারা মারা গেছেন, তারা হয়তো কারো মা, না হয় পিতা, না হয় সন্তান, না হয় বন্ধু, না হয় প্রতিবেশী, না হয় সহকর্মী। অনেকের কাছে তারা পরিচিত ছিলেন এবং তাদেরকে ভালবাসতেন অনেকে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে জুডিথ উডস লিখেছেন,সমাধিক্ষেত্রের নামফলক দেখে যতটা কান্না আসে, এই সংখ্যা তার চেয়েও বেশি।দ্য টাইম-এর বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক টম হুইপল বলেছেন, যখনই এই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে, তখন এর পরিণতি অনতিক্রম্য। কিছু একটা খুব বাজেভাবে ভুল হয়েছে।
অন্যদিকে লকডাউনের সময়ে ঘরে অবস্থানরত মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রি এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের এক অভিযান চালু করেছে দ্য মিরর।তারা লিখেছে, দুর্বল ব্যাকগ্রাউন্ডের বহু শিশু টয়লেট পেপারে লেখালেখির কাজ সারছে।অন্যদের তো কলম বা লেখার সামগ্রীও নেই।এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন দ্য মিররের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে।তারা এতে দান করেছে ১০ লাখ পাউন্ড।দ্য টাইমসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে যেসব মানুষ বৃটেনে যাবেন তাদের হোটেল কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা সীমিত করার ঘোষণা দিতে পারে সরকার।