বৃটিশ-বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) চালুর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক “জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩” উদযাপন করলো বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বারা ও কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রবাসীগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ ইউকে’র নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবাসী বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে জাতীয় প্রবাসী কল্যাণ দিবস, ২০২৩ উদযাপন করেছে লন্ডনস্হ বাংলাদেশ হাই কমিশন।
এ উপলক্ষে দূতাবাস কর্তৃক মিশনের চ্যান্সেরী ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বৃটিশ-বাংলাদেশী প্রবাসীদের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ গত ৫২ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃটিশ-বাংলাদেশী প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম প্রবাসী-বান্ধব বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ এবং ৩০শে ডিসেম্বরকে জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। প্রবাসী নাগরিকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের কল্যাণমূলক নীতিমালা ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সদা তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, গত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সাথে রেকর্ডসংখ্যক কনস্যুলার এবং ওয়েলফেয়ার সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন। ২০২৩ সালেই কোভিড পূর্ববর্তী ২০১৯ এর তুলনায় ৫৬% বেশী এনভিআর, ২৫ % বেশী এমারপি এবং ২,৫০০’র বেশী ওয়েলফেয়ার সংক্রান্ত সার্ভিস প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন। এছাড়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লন্ডনে বসেই ই-পাসপোর্ট এবং এন.আই.ডি. যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের হাতে তুলে দিতে পেরে হাই কমিশন গর্বিত, বলেন হাই কমিশনার। তিনি বলেন, প্রবাসীদের যুক্ত্যরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে এবং বাংলাদেশে সর্বপ্রকার সহায়তা প্রদান করা এবং তাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন সদা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
এফ.ডি.আই., রেমিট্যান্স প্রেরণ ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সিআইপি নির্বাচিত ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের অভিনন্দন জানিয়ে হাই কমিশনার এই তিন ক্ষেত্রে আরও বেশি অবদান রাখতে প্রবাসীদের আহ্বান জানান।
হাই কমিশনার যুক্তরাজ্যের মূলধারার রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, আইন, শিক্ষকতা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত সফল এবং মেধাবী নতুন প্রজন্মের বৃটিশ ও আইরিশ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূয়সী প্রশংসা করে এ বিশেষ দিনে অভিনন্দন জানান।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানের পরে একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেন হাই কমিশনার। এরপর তিনজন বিশিষ্ট কমিউটি ব্যক্তিত্বের এন. আই. ডি. আবেদন কার্যক্রমের পাইলট প্রজেক্ট উদ্বোধন করে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জানান, “আগামী জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ এন.আই.ডি. সেবা কার্যক্রম চালু করবে লন্ডন দূতাবাস, ইনশা আল্লাহ্।”