ব্যাটারি ও ইঞ্জিনচালিত রিকশা বন্ধে কঠোর অবস্থানে সিলেটের পুলিশ
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেটে বার বার পদক্ষেপ নিয়েও বন্ধ করা যায়নি অবৈধ ব্যাটারি বা ইঞ্জিনচালিত রিকশা এবং ইজিবাইক। এককভাবে তো নয়-ই, সিলেট সিটি করপোরেশন এবং ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন সময়ে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েও মহানগর থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি এসব অবৈধ রিকশা। কয়েকটি মূল সড়কে না চললেও নগরজুড়ে কয়েক হাজার ব্যাটারি বা ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল করে।
তবে এবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)’র নতুন কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান (পিপিএম) দিয়েছেন কঠোর ঘোষণা। মহানগরে চলাচলকারী এসব অবৈধ রিকশা চলাচল বন্ধে কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাফিক বিভাগকে। সেই সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার জন্য। এতে ভোক্তা অধিদপ্তরকে এসএমপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন এসএমপি কমিশনার। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার হেডকোয়ার্টার্স কনফারেন্স হলে এসএমপি’র আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশে ব্যাটারি বা ইঞ্জিনচালিত অবৈধ রিকশা এবং ইজিবাইক বন্ধ করতে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশ অমান্য করে সিলেটে প্রায় একযুগ ধরে চলছে এসব রিকশা ও ইজিবাইক। আগে নগরির বন্দরবাজার-জিন্দাবাজারসহ মূল সড়কগুলোতে চলাচল করলেও পুলিশি বাঁধায় ইদানিং এসব সড়কে না উঠলেও নগরির আর সব রাস্তায় চলে এ অবৈধ রিকশাগুলো। এমন কি কোতয়ালি থানার সামনেই রয়েছে এসব অবৈধ যানের স্ট্যান্ড।
নগরির যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে এসব রিকশা। দিন দিন নগরে বেড়েই চলেছে এই যানবাহন। যে কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার শৃঙ্খলা। যানজট কমাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়া এসব ব্যাটারিচালিত যানের গতি থাকে বেপরোয়া। ফলে এরা প্রতিদিনই ঘটাচ্ছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
অপরদিকে, বছরের পর বছর ধরে ধরে চলা নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, টমটম, রিকশাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রকমের সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট প্রতি মাসে বাণিজ্য করছে লাখ লাখ টাকার। সর্বোপরি হচ্ছে বিদ্যুৎ অপচয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর ২ মেয়াদে বিভিন্ন সময় এসব যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও নির্মূল করা যায়নি। তবে এবার এ বিষয়ে কঠোর হচ্ছে এসএমপি।
এসএমপি’’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন- কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে এসব অবৈধ যানের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য। এ ক্ষেত্রে ভোক্তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে এসএমপি।