ব্রিটেনে বছরের সর্বোচ্চ গরম: সমুদ্র সৈকতে প্রচন্ড ভীড়: বজায় থাকেনি সামাজিক দূরত্ব
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে কয়েক হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান।রোদ উপভোগ করতে এমনকি তারা সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধওে উপেক্ষা করেন।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল,চলতি বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার।সেখানে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।ফলে সৈকত,পার্ক এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া উপভোগ করতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সামাজিক-দূরত্বের দিকনির্দেশনা পরিবর্তন করে দুই মিটার থেকে ‘এক মিটার প্লাস’ দুরত্ব বজায় রাখতে বলার ঠিক একদিন পরেই সৈকতে রোদ উপভোগ করতে মানুষের এই ভিড় দেখা গেল।নতুন নিয়ম প্রবর্তন করার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী জনসন ৪ জুলাই থেকে পাব, রেস্তোঁরা,সিনেমা ও হোটেল পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।পাশাপাশি নতুন নির্দেশিকায় বাড়ির অভ্যন্তরে দুটি পরিবারের সাক্ষাতের অনুমতিও দেয়া হয়।
বুধবার ব্রিটেনের কোনও কোনও স্থানে ২৮ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম রেকর্ড করা হয়।আর তাই লকডাউন শিথিলের সুযোগে বিভিন্ন সমূদ্র সৈকতে হাজার হাজার মানুষ রোদ উপভোগের জন্য ছুটে যান। করোনাভাইরাসের মহামারীর পর থেকে বুধবারই ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঘরের বাইরে গিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে। এসময় কোথাও কোথাও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে একাদিক সংবাদ মাধ্যম।স্কাই নিউজ জানায়, লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট এলাকায় উষ্ণতা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি বড় বড় পার্কগুলোতেও শত শত মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই বের হন রৌদ্র উজ্জ্বল দিনকে উপভোগ করতে। অনেকেই চেষ্টা করেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে।
নর্থ ডেভন সমূদ্র সৈকতের কর্তৃপক্ষ জানায়, নিষেধ সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের সাউথ ওয়েস্টসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ সমূদ্র সৈকতে বেড়াতে আসে। ব্রাউন্টন কর্তৃপক্ষ জানায়, টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ঘটে। রাস্তাগুলো ছিল গাড়ির দখলে। এছাড়া বর্নমাউথ, সাউথএন্ড, এসেক্সের সানবাথার্স, ব্রাইটন প্রায় সকল সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসুদের দেখা যায়।তবে, যুক্তরাষ্ট্রে এখনি লকডাউন শিথিল করা উচিত হবে না বলে এর আগে সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্সও স্বীকার করেছেন যে, সামাজিক দুরত্বের নতুন নির্দেশনা ঝুঁকিবিহীন নয়। মঙ্গলবার ডাউনিং স্ট্রিটের দৈনিক করোনভাইরাস ব্রিফিংয়ে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইটি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, মানুষ ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফিরে আসার ফলে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে।সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট।