ব্রিস্টলে দাস ব্যবসায়ীর ভাস্কর্য ফেলার ঘটনায় ১ ব্যক্তি গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ গত মাসে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে সপ্তদশ শতকের এক ইংরেজ দাস ব্যবসায়ীর ভাস্কর্য ফেলে দেওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।জুনের ওই ঘটনার পর ব্রিটেনের সাম্রাজ্যিক অতীত নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ এর ঢেউ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল।তখন ব্রিস্টল শহরের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীরা স্থানীয় বণিক এডওয়ার্ড কোলস্টোনের ভাস্কর্য ভিত্তি থেকে উপড়ে ফেলে টেনে নিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছিল।
এই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র বলেছিলেন,তিনি জনগণের তীব্র অনুভূতির বিষয়টি বুঝতে পারছেন কিন্তু ওই ভাস্কর্য ফেলে দেওয়া একটি অপরাধতুল্য কাজ।এইভন ও সামারসেট পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে,অপরাধজনিত ক্ষতি করেছে সন্দেহে ২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়,তারপর তদন্তের অধীনে মুক্তি পেয়েছে (সে)।কোলস্টোন ষোড়শ শতকের শেষ দিকে দাস ব্যবসার মাধ্যমে তার সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন।তার মূর্তি ১৮৯৫ সাল থেকে শহরটিতে দাঁড়িয়ে ছিল।কিন্তু বর্তমানে বহুসংস্কৃতির শহরটিতে তার মূর্তির উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক চলছিল।
ঘটনার পর নদী থেকে তার ভাস্কর্যটি উদ্ধার করা হয়।ব্রিস্টলের মেয়র জানিয়েছেন, জাদুঘরে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ প্ল্যাকার্ডের পাশে এটিকে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।কোলস্টোনের ভাস্কর্য ফেলে দেওয়ার এই ঘটনায় সৃষ্ট বিতর্কের জের ধরে যুক্তরাজ্যের আরও কয়েকটি শহর ও এলাকা থেকে বেশ কিছু ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়া হয়।তারমধ্যে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চল টাওয়ার হ্যামলেটস বারা থেকে ব্রিটিশ দাস ব্যবসায়ী রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য সরানো অন্যতম ঘটনা।গত মাসে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে সপ্তদশ শতকের এক ইংরেজ দাস ব্যবসায়ীর ভাস্কর্য ফেলে দেওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।