ভারত ও আফগানিস্তানের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিতে নিউজিল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
সত্যবাণী
ক্রিকেট বিশ্বকাপ: চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনালের দু’টি দল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগের দিনই। তাইতো সবার নজর ছিল গ্রুপ-২-এ। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করায় নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে ছিল সবাই, বিশেষ করে কোহলির ভারত।তবে ভারতের দেড়শ কোটি ভক্ত-সমর্থককে হতাশ করে শেষ পর্যন্ত চলতি কাঙ্ক্ষিত সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল কেন উইলিয়ামসনের দল। রোববার (৭ নভেম্বর) বিকালের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিয়েই সব সমীকরণের হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড।এদিন আবু ধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগান শিবিরে শুরুতেই আঘাত হেনে কাঁপন ধরিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। কিউয়ি পেস তোপে ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। যেখান থেকে ঝোড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকেও এগিয়ে নেন নজিবুল্লাহ জাদরান।তবে তাঁকে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানেই থামে আফগানিস্তানের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করে আউট হন নজিবুল্লাহ। তাঁর এই ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কার মার।
এছাড়া গুলবাদিন নাইব ১৫ এবং মোহাম্মদ নবির ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। আগুনে বোলিং করা কিউয়ি পেসারদের মধ্যে এদিন মাত্র ১৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া সাউদি ২টি এবং মিলনে, সোধি ও নিশাম একটি করে উইকেট লাভ করেন।জবাবে মার্টিন গাপ্টিল ও ড্যারিল মিচেলের ব্যাটে ভালো সূচনাই করে কিউয়িরা। তবে দলীয় ২৬ ও ৫৭ রানে এই দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেন দুই আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান। তবে ডেভন কনওয়েকে নিয়ে সেই চাপ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান কেন উইলিয়ামসন।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কিউয়ি অধিনায়ক। তাঁর ৪২ বলের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে ছিল মাত্র তিনটি চারের মার। আর সঙ্গী কনওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে অপরাজিত ৩৬ রান। যাতে ছিল চারটি বাউন্ডারি।এছাড়া গাপ্টিল ২৮ ও মিচেল ১৭ রান করে আউট হন। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ট্রেন্ট বোল্টই।