ভোটে হারলেও যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন মমতা!
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
ভারতঃ রোববার পশ্চিমবাংলার ২৯২টি আসনে পর পর ফল প্রকাশিত হলেও, নন্দীগ্রাম ঘিরে দুপুর থেকেই দেখা দেয় বিভ্রান্তি। ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন বলে খবর আসছিল। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে মমতার জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বলা হয়, সার্ভারে সমস্যার জেরে সঠিক ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না।তার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর আসে। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে আনন্দবাজার ডিজিটালকে ফোনে তিনি বলেন, ”১৬২২ ভোটে জিতেছি আমি।” যদিও পোস্টাল ব্যালট ছাড়া মমতার সঙ্গে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ৯৭৮৭ বলে জানা যায়। তার পর সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন বলে জানান মমতাও। তিনি বলেন, ”নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব।”রাজ্য নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পেছনে মমতাকেই কৃতিত্ব দেন বিজেপি নেতা কৈলাস ভিজায়ভার্গিয়া, “বাংলা আরেকবার দিদিকে বেছে নিয়েছ বলেই দেখা যাচ্ছে।”
আপাতত ফলাফল ঘোষণা স্থগিত নন্দীগ্রামে। নতুন করে গণনা হতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব একথাও জানান আনন্দবাজারকে।তবে নিজ দলের জয়ের পরও নন্দীগ্রামে জয় মমতার জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ভোট পুনর্গণনা যদি হয় এবং সেখানেও শুভেন্দু জয় পান, তাহলে মমতা হারাবেন তার নির্বাচনী আসন। এক্ষেত্রে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা- সেই প্রশ্ন উঠছে।এব্যাপারে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য বয়স কোনো ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ২৫ বা তার বেশি হতে হবে। ভারতীয় নাগরিকত্বও একটি মূল শর্ত। পাশাপাশি থাকা চাই রাজ্য আইনসভায় নির্বাচিত সদস্যপদ। তবে কেউ বিধানসভার আসনে নির্বাচিত না হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন, সেক্ষেত্রে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই একটি আসন থেকে তাকে নির্বাচিত হতে হবে। জয় না পেলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। জয় না পেলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে।এইক্ষেত্রে মমতার সামনে একটি বড় সুযোগ হলো খড়দহ আসন। এই আসনে তৃণমুলের এক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারপরই তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই আসনেই এবার উপ-নির্বাচন দিয়ে বিধানসভায় নিজের হারানো পদ ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর সেখানে তার জয় নিশ্চিত না হলে আইন অনুসারে তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।