ভয়াবহ করোনায় মানুষের সুরক্ষার জন্য চাই গণ ভ্যাকসিন কার্যক্রম ও দুর্নীতি-লুটপাট মুক্ত স্বাস্থ্যখাত: ভার্চুয়াল আলোচনায় নেতৃবৃন্দ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ স্বাস্থ্যখাত অব্যবস্থাপনা,দুর্নীতি আর লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার ন্যূনতম বালাই নেই।ফলে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। করোনাকালের লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের আয় রোজগার প্রায় বন্ধ।এদের ক্ষুধার অন্ন জোগাড়ের দায় সরকারের। ক্ষুধার্ত মানুষ ক্ষুধার তারণায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে লকডাউন সফল সম্ভব নয়।করোনা থেকে মানুষের সুরক্ষার জন্য চাই গণ ভ্যাকসিন কার্যক্রম।দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের জন্য ২৬ কোটি ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। আছে প্রায় ৭ শতাংশ।ভ্যাকসিনকে মুনাফার হাতিয়ার না করে কত দ্রুততম সময়ে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় এক্ষুনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার অথবা ভ্যাকসিন উৎপাদনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশে অন্তত ১২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এদেশে করোনায় দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৩ কোটির বেশী। সরকার বিভিন্ন খাতে ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। এই প্রণোদনা অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। অথচ ৩ কোটি দরিদ্র মানুষকে মাসে নগদ ৫০০টাকা, ১৫ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল ও ২ লিটার তেল বিতরণ করার জন্য প্রয়োজন ৬ হাজার কোটি টাকা। এখনই স্বচ্ছতার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে করোনা মহামারী ভয়াবহতার দীর্ঘমেয়াদে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও গরীব সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা কঠিন বিপদের মুখোমুখি হয়ে পড়বে।
গতকাল ১০ জুলাই’২১ বিকেল সাড়ে ৪ টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আয়োজিত “ভয়াবহ করোনায় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা” শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাপের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট এমএ ওহাব। সঞ্চালনা করেন ন্যাপ নেতা পরিতোষ দেবনাথ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিম-লীর সদস্য প্রবীণ নেতা এডভোকেট এনামুল হক, ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট আওলাদ হোসেন, এডভোকেট আব্দুল মালেক, নাসিমা হক রুবি, অধ্যাপক চন্দন কুমার চন্দ, ডাক্তার মনতাজের রহমান, কানাডা থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, লন্ডন থেকে সৈয়দ হাসান আহমেদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভ্যাকসিনের সাথে সাথে পাড়ায়-মহল্লায় রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে । বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মানুষের সাথে সম্পৃক্ত। এদের সম্মিলিত কাজ কখনোই আমলাতন্ত্র দিয়ে করানো যায়না। রাজনীতি পথ দেখাবে আমলাতন্ত্র সেই পথে মানুষের কল্যাণে চলবে। আমলাতন্ত্রের কাজ মোসাহেবি করা নয়। ভালো আমলাতন্ত্রের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মানুষের কল্যাণ করা। আমলাতন্ত্র বিশেষ কোনো দলের নয় তারা দেশের ও জনগণের।