মাছ ধরতে না পেরে অসহায় মৎসজীবিরা বিশ্বনাথে সুরমা নদীতে ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছে

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মৎসজীবি মতিউল ইসলাম (৪০)। দীর্ঘদিন থেকে সংলগ্ন সুরমা নদী থেকে মৎস্য আরোহণ করেই চলে তার সংসার। কিন্তু কিছুদিন যাবত একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সুরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে তিনি আর মাছ আহরণ করতে পারছেন না। বিধায় তাঁর সংসারের চাকা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।এতো গেলো মতিউল ইসলামের কথা। এ রকম এই এলাকায় শতাধিক পরিবার সুরমা নদী থেকে মাছ আহরণ করে তাদের পরিবার চালায়। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কাছে জিম্মি। মাছ ধরতে না পারায় তারা ক্রমইে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।চক্রটি সুরমা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে মাটি তোলার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীপাড়ের ২টি সরকারি আশ্রায়ন কেন্দ্রসহ নদীর উপর স্থাপিত ব্রিজ। একই কারণে যেকোন সময় ধ্বসে যেতে পারে আশ্রয়ন কেন্দ্রের ঘর ও নদীর উপরের ব্রিজ।মৎসজীবি মতিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তাঁরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি তোলার ফলে তারা আর মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে তিনিসহ এলাকার শতাধিক মৎসজীবি পরিবার কর্মহীন হয়ে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন।এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্বনাথের ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও আহরণ মৎস্যজীবি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।এ বিষয়ে ইউএনও নুসরাত জাহান বলেন, এখানে একটি সরকারি প্রকল্পের জন্য মাটি তোলা হচ্ছে। এর বাইরে কেউ মাটি তুলে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You might also like