মিয়ানমারে নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের নাম মুছতে সহায়তা করছে ইইউ
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
মিয়ানমার: মিয়ানমারের আগামী মাসের নির্বাচনে বিভিন্ন সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ই্ইউ)।অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।যেখানে রোহিঙ্গা প্রার্থীদের ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।এর ফলে ভোটারদের জানানো হচ্ছে রোহিঙ্গা নামে কোনও জনগোষ্ঠী নেই এবং এই অ্যাপ তৈরি করেছে ইইউ।
মিয়ানমার সামরিক জান্তা ও অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও ধরনের সম্পৃক্ততাকে অস্বীকার করছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি মিয়ানমারের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের অসম্পৃক্ত করা কোনোভাবেই উচিত হবে না।আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত জানুয়ারি মাসে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত মামলার একটি আদেশ দিয়েছে, যেখানে রোহিঙ্গাদের বিশেষ ভঙ্গুর সম্প্রদায় হিসেবে অভিহিত করেছে।মিয়ানমারকে যেকোনও ধরনের বিনিয়োগ, নির্বাচন ও অন্য সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের ওই আদেশকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই সাবেক সচিব।
রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু দমনে মিয়ানমারের অস্ত্র সংগ্রহ
বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের ওপর ব্যবহার করতো।ওই সময়ে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী নিজ দেশের জনগণকে হত্যা ও নির্যাতনে এই অস্ত্র ব্যবহার করতো।সেই একইভাবে মিয়ানমারের সেনারা অস্ত্র সংগ্রহ করে তাদের দেশের রোহিঙ্গাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি)-এর তথ্য অনুযায়ী রাশিয়া, চীন, ভারত, ইসরায়েল, ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া, বেলারুশ, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ থেকে মিয়ানমার অস্ত্র সংগ্রহ করেছে।মিয়ানমার যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করেছে রাশিয়া, চীন, জার্মানি, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস থেকে। যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করেছে চীন, ভারত, ইসরায়েল ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। আবার মিসাইল সরবরাহ করেছে চীন, ভারত, বেলারুশ ও ইউক্রেন। যুদ্ধজাহাজে ব্যবহৃত অস্ত্র সবরাহকারী দেশ হচ্ছে চীন ও ইসরায়েল। কামান সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে সার্বিয়া, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইসরায়েল ও ভারত। ট্যাংকসহ অন্যান্য যুদ্ধগাড়ি সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে চীন, ইউক্রেন, ভারত ও ইসরায়েল।