যুদ্ধ নয় শান্তির আহ্বান সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধ নয় সারাবিশ্বে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। বিশ্বব্যাপী করোনার মহাবিপর্যয়ের সময়ে চীন-ভারতীয় সীমান্তে সমরাস্ত্র মোতায়েন ও যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি বিস্ময়কর হতাশা ও নিন্দনীয় বলে আমরা মনে করি। আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী সামরিক শক্তি চীনের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টাকে বিশ্বব্যাপী সংঘাত অনিশ্চয়তা ও মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আমরা মনে করি।
আজ ২৫ জুন বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, শান্তির স্বপক্ষে বিশ্ব বিবেক জেগে ওঠার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক এ কে আজাদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, এড. পারভেজ হাসেম, কেন্দ্রীয় নেতা বেলায়েত হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, ঢাকা মহানগর নেতা জোবায়ের আলম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আজিজুর রহমান বলেন, যুদ্ধ কখনো সমস্যার সমাধান করে না বরং দেশে দেশে দুর্যোগ, বেকারত্ব তৈরী করে। আমরা চীন ও ভারত সরকারের কাছে আলোচনায় সমাধানের পথ বের করার দাবি জানাই।ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতসহ বিশ্বব্যাপী করোনা মহাবিপর্যয়ের সময়ে চীনের আগ্রাসনের শিকার হতে চলেছে এটি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাপী চাপ তৈরী করে চীন-ভারতের উত্তেজনা প্রশমিত করার প্রচেষ্টা নিতে হবে।সভায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ইসলাম জহির। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়:- আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস থেকে মহামারী করোনা দুর্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ অকাতরে মৃত্যুবরণ করছে। সারাবিশ্বে মানবকুলে মহাবিপর্যয়ে পতিত হয়েছে। জনজীবনের বিপর্যয়ের এই ক্রান্তিকালে গত মে মাসের প্রথম দিক থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ ভারত-চায়না সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চরম উত্তেজনার বিশ্ব বিবেক হতবাক ও বিস্মিত। ইতোমধ্যে একতরফা চীন সরকার সীমান্তে ব্যাপক সৈন্য গোলাবারুদের সমাবেশ ঘটিয়ে এই উপমহাদেশে যুদ্ধের তাপ ছড়াচ্ছে। তাতে করে ভারত সরকারও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় সীমান্তে সৈন্য সামন্ত জড়ো করছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী ইতোমধ্যে উভয় দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু প্রাণহানির দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।
আমরা মনে করি যুদ্ধ-জীবন-সম্পদহানি কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না। ইতোপূর্বে দেশে দেশে যুদ্ধের ঘটনা কোন জটিল বিষয়ের স্থায়ী সমাধান আসেনি। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী কঠিন বাস্তবতার মুখে করোনার জটিল পরিস্থিতিতে চীনেন একাধিপত্য বিস্তারে প্রচেষ্টা নতুন করে বিশ্ব পরিস্থিতিকে জটিলতর করবে। দেশে দেশে কর্মহীনতা-অর্থনৈতিক বিপর্যয়, দুর্যোগের ঘটনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাবে। আমরা মনে করি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও বিশ্ব নেতৃত্ব দ্রুততম সময়ে চীন ও ভারতের সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি নিরসনে উদ্যোগী ভূমিকায় উপনীত হবেন। আমরা উভয় দেশের রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি সমূহের প্রতি আহ্বান জানাই- ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য জনমত গঠনে উদ্যোগী হোন।একই সাথে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা মোকাবেলা, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নেবেন বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।