রাজধানীর ৫২টি থানায় কমিটি দিতে নাগরিক কমিটির ‘ঢাকা রাইজিং’ কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ ঢাকার ৫২টি থানায় কমিটি দিতে ‘ঢাকা রাইজিং’ নামে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, আপাতত সেসব স্থানে মতবিনিময় সভা বা সমাবেশ দিয়ে কর্মসূচি শুরু করছে প্লাটফর্মটি।রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ ও আহতদের ন্যায়বিচার চেয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। পরে ঢাকার সব থানায় কমিটি গঠন করা হবে।জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব বাংলানিউজকে জানান, নাগরিক কমিটি ঢাকার ৫২টি থানায় প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠন করবে। আপাতত ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, হাজারীবাগসহ যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, সেখানে সমাবেশ বা মতবিনিময়ের মতো অনুষ্ঠান করে তারা কার্যক্রম শুরু করবে।

তিনি বলেন, ছোট ছোট করে এসব প্রোগ্রামের পর আমরা কমিটি করব। কমিটিতে আমরা চেষ্টা করব শহীদ এবং আহতদের পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করতে। এছাড়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং থানার সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যেসব তরুণ জড়িত, আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা করছি।পুরো ঢাকাকে সংগঠিত করতেই তারা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান আদীব। তিনি বলেন, এই কমিটি কেবল নাগরিকদের জন্য। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তারা এতে অংশ নেবেন। এভাবে কমিটি গঠনের পর আমরা কোন ফরম্যাটে যাব, তা ভাবব।এদিকে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে শাহবাগে আয়োজিত এক সমাবেশে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, রোববার থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি শুরু করছি। পুরো ঢাকাকে একসঙ্গে গুছিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তির উৎখাত করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করব।এসময় দেশের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দলের অনেক নেতা ও সরকারের অনেক মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও পালিয়ে গেছেন অনেকে।অভ্যুত্থান সংগঠনকারী জনতা ৮ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামে একটি প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে’ ওই কমিটি গঠিত হয়।কমিটির আহ্বায়ক হন নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য। সংগঠনের সদস্য সচিব হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন ও মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর-আল- মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির, আকরাম হুসেইন।

You might also like