রোহিঙ্গা ঢলের তিন বছর!
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
বাংলাদেশঃ গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার তিন বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিতে শুরু করে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। যেখানে ৩৪টি ক্যাম্পে বসবাস করছে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।তবে, কূটনৈতিক জটিলতা আর চলমান করোনা পরিস্থিতির ফলে প্রত্যাবাসন কখন শুরু হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন অফিস শরনার্থী শিবিরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।করোনার আগে সরকার মিয়ানমারের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়। তবে রোহিঙ্গাদের দাবি মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি না দিলে তারা ফিরবেন না।
রোহিঙ্গারা বলছেন, ‘নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। জোর করে মিয়ানমারে পাঠাতে চাইলে আমরা যাব না। যেভাবে আমাদের এখানে রাখা হয়েছে, সেভাবে যদি মিয়ানমারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, তবেই আমরা যাব।’বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে ভাটা পড়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও থমকে আছে।এ ব্যাপারে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি উন্নয়নশীল দেশ। তাই, যত তাড়াতাড়ি পারা যায়, জাতিসংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করতে হবে।এদিকে, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বসবাসের কারণে পরিবেশ প্রতিবেশগত নানা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।