শান্তিগঞ্জের জয়কলস গ্রামের ২শ’ পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে হুমকির মুখে
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নাইন্দা নদীর তীরবর্তী জয়কলস গ্রামটি নদী ভাঙ্গনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ২শ’ পরিবার।
শান্তিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান,২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে সরেজমিন জয়কলস গ্রামের নাইন্দা নদীর ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে ও গ্রামবাসীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, নাইন্দা নদী সংলগ্ন গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের জন্য এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত পাকা রাস্তাটি বিগত ২ বছর যাবৎ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের ফলে রাস্তার কিছু অংশ ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই সাথে কয়েকটি বসতবাড়িও ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গার ঢালাইয়ের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় যেকোন সময় রাস্তাটি ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার আশংকা করছেন গ্রামবাসী। এই রাস্তা দিয়ে শুধু জয়কলস নয়, পার্শবর্তী জগজীবনপুর গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী এলাকাবাসী চলাফেরা করেন প্রতিনিয়ত। রাস্তাটির নদীভাঙ্গন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে ২৪ জানুয়ারী সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন গ্রামবাসী। জয়কলস গ্রামের মানিক লাল চক্রবর্তী বলেন, এই রাস্তাটি নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ায় পুরো গ্রামবাসী হুমকির মুখে রয়েছে। শুধু রাস্তায় ভাঙ্গন নয়, কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙ্গন ধরেছে। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে এই গ্রামের নদীর তীরবর্তী পাকা রাস্তাসহ প্রায় ২শ’টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
জয়কলস গ্রামের মনোরঞ্জন দাশ, কাজল বিশ্বাস, গৌতম রায়, মনো রায়, শৈলেন বিশ্বাস, সুজন তালুকদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এই শুধু রাস্তা ভাঙ্গন নয় বর্ষাকালে রাস্তাটি পানি তলিয়ে যায় বিধায় গ্রামের পরিবারগুলোকে নদীভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচাতে উক্ত ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতসহ উচ্চতা বৃদ্ধি ও প্রশস্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জের ইউএনও সুকান্ত সাহা জানান, নদীভাঙ্গনের ফলে রাস্তা ভেঙে গেছে, এ নিয়ে একটি আবেদন পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলে দিয়েছি যদি আপনারা অন্যদিকে জায়গা দেন, তবে আমরা একটা রাস্তা বানিয়ে দেবার চেষ্টা করতে পারি। তাছাড়া নদীভাঙ্গন বিষয়টা পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখ-ভাল করে, আমি তাদের কাছে আবেদন করতে বলেছি।
সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী পরিচালক মো. শামসুদ্দোহা বলেন, এ রকম একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। এর আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।