শান্তিগঞ্জের টাইলা বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ৪
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা বাজারে কুকুরের বাচ্ছাকে কেন্দ্র করে দু”পক্ষের বাচ্ছাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে টাইলা গ্রামের ১৮/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র রামদা,দা,ডেগার ও লাঠিসোটা নিয়ে ৪টি নিরীহ পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে ৪ সহোদর গুরুতর রক্তাক্ত জখমী হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে টাইলা গ্রামের বাজারে দু”পক্ষের বাচ্ছারা একটি কুকুরের বাচ্ছা নিয়ে ঝগড়া করে। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে রাত ৮টার দিকে টাইলা গ্রামের মৃত বিনদ দাসের ছেলে ঝুনু দাস,বিকাশ দাস,মৃত মাখন দাসের ছেলে সুষেন দাস,তার ছেলে সুবল দাস,সুবোধ দাস,বিক্রয় দাস,তার ছেলে বিউটন দাস,দীপক দাস,বিধান দাস, ঝুনু দাসের ছেলে হরি দাস,নিতাই দাস,গৌর নিতাই দাস,মৃত নুনু দাসের ছেলে বানু দাস,তার সহোদর প্রাণকৃষ্ণ দাস, বানু দাসের ছেলে স্বপন দাসের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে টাইলা বাজার সংলগ্ন মৃত সুখময় দাসের ৪ ছেলের বাড়িঘরে হামলা চালায় ।
এ সময় হামলাকারীরা দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে সুখময় দাসের চার ছেলেকে কুপিয়ে স্টেপিং করে রক্তাক্ত করে। হামলায় সুখময় দাসের ৪ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সুধারঞ্জন দাসে(৪৬)”র মাথায় রামদা দিয়ে পর পর তিনটি স্থানে কোপ মারে এবং ডেগার গিয়ে বাম চোখে স্টেপিং করলে অধিক রক্তখননে তিনি মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। এছাড়াও তার সহোদর সুজিত দাস(৪৪),পরিমল দাস(৩৫) ও সুরঞ্জিত দাস(৩০) এর শরীর,মাথা ও পিঠের বিভিন্নস্থানে দাড়াঁলো অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফেটেঁ গুরুতর আহত হন।হামলাকারীরা সুধারঞ্জনের চার ভাইয়ের বসতঘরে প্রবেশ করে নারীদের উপর ও হামলার চেষ্টা চালায় পরে ঘরের টাকা পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাঠ করে নিয়ে যায়। আহতদের চিৎকার শুনে আশপাশে তাদের স্বজন ও গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহত চারজনের সবার মাথায় রামদার কোপে মাথা ফেটেঁ যাওয়ায় ডাক্তাররা তাদের মাথার বিভিন্নস্থানে সেলাই করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,আহত ৪ ভাইয়ের মধ্যে সুধারঞ্জন দাসের বামচোখে ডেগারের স্টেপিং এবং পিঠে ও মাথায় রামদা ও দা”এর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাত ১১টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদেও পক্ষে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ঝুনু দাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে ফোনের লাইন কেটে দেন। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।