শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সন্তোষ প্রকাশ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকা: সকল শংকা ও গুজবকে মিথ্যা প্রমান করে সুন্দর, সুষ্ঠু, আনন্দময় এবং শান্তিপূর্ন পরিবেশে এ’বছর শারদীয় দূর্গোৎসবের সমাপ্তি হয়েছে। এই বছর দেশের কোথাও উৎসবানন্দে বিঘœ ঘটেনি। সারাদেশে পুজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১৬৮ টি, যা সর্বাধিক।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সম্প্রীতি বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গাপুজা পালনে সর্ব ধর্মের এবং সর্বস্তরের মানুষকে সক্রিয় ও সবল ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে সরকার, প্রশাসন এবং শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপর দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে, এগিয়ে আসতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রিত এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সচেতন বাঙালিকে। গড়ে তুলতে হবে অসাম্প্রদায়িকতার দৃঢ় ঐক্য। বিনষ্ট করতে হবে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র এবং কুৎসিত আঘাত।
আমাদের এই ক্ষুদ্র ভূখন্ডের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির উজ্জল পরম্পরাকে চির জাগরুক রাখতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবান সার্থক হয়েছে। এ’জন্য সর্বধর্ম নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের মানুষের বিশেষ ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ। উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ০৯ অক্টোবর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও পবিত্র একটি দিন। এই দিনে একই সাথে উদযাপিত হবে ইসলাম ধর্মালম্বিদের ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বৌদ্দ ধর্মালম্বিদের প্রবারণা পূর্ণিমা এবং হিন্দু ধর্মালম্বিদের কোজাগরী লক্ষী পূজা। যথাযথ সম্মান জানিয়ে দিনটি পালনের আহবান জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
’ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অসাম্প্রদায়িক ঘোষনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কার্যকরি ভূমিকাকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ সাধুবাদ জানায়।
যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ বিশ্বমাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘেœ নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। সর্ব ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে জাতির পিতা তাই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ কে অতীব গুরুত্বসহ সন্নিবেশিত করেন।
এই বছরের মত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভবাদী মানুষের ঐক্য যেন ভবিষ্যতেও অটুট থাকে এটাও কামনা করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলসহ বিবৃতিদাতাদের ভেতর রয়েছেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ডাকসুর প্রথম মহিলা ভি.পি মাহফুজা খানম, আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামূল হক ভুইয়া, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এস এম আব্রাহাম লিংকন, উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আশকারী,অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বাবু, মেজর জেনারেল জন গোমেজ(অব.), ড. রতন সিদ্দিকী,রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, উপাচার্য অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, জেষ্ঠ সাংবাদিক শরীফ শাহাবুদ্দিন, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আলি হাবিব,উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, উপাচার্য ড. মো. নাসিম আখতার, উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন, অধ্যাপক নূজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস (রা.বি), অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ(জা.বি), অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক অসীম সরকার, অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ূয়া, অধ্যাপক আব্দুল খালেক(সাতক্ষীরা), অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক (রা.বি), অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা মিহির কান্তি ঘোষাল, বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী জয়শ্রী কর জয়া, অধ্যাপক আ.ব.ম ফারুক, সাবেক যুবনেতা ও আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব জামান, সাবেক যুবনেতা মো. হিলাল উদ্দিন, নিরঞ্জন রায়(কানাডা), বদিউজ্জামান খান নাসিম (যুক্তরাষ্ট্র), মোস্তফা ফরিদ (যুক্তরাষ্ট্র), লোকমান হোসেন(যুক্তরাজ্য), আজিজ আহম্মেদ (যুক্তরাজ্য), দেলোয়ার হোসেন(সুইডেন), নজরুল ইসলাম (অস্ট্রিয়া),বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ (সাতক্ষীরা), অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ মোল্লা(সাতক্ষীরা), মিলন ব্যানার্জী (বাগেরহাট), লিয়াকত হোসেন (বাগেরহাট) এডভোকেট নরেশ মুখার্জী(বগুড়া), আব্দুস সালাম (নাটোর), এম সাইফুল মাবুদ (ঝিনাইদহ), কবি সাজ্জাদ আনসারী (জামালপুর), ডা. হরিপদ রায় (শ্রীমঙ্গল), তপন সেন(রাজশাহী), অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার (নেত্রকোনা) সৈয়দা সায়েরা মহসিন (মৌলভিবাজার), অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার (ময়মনসিংহ), বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ (সাতক্ষীরা), মবিনুল হক মবিন (যশোর), অধ্যাপক এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন (কক্সবাজার) প্রমুখ।

You might also like