শাল্লায় হামলার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না ড. জাফর উল্লাহ চৌধুরী

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু পল্লীর বাড়ি-ঘর ভাঙ্গচুর ও হামলার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। সনাতন ধর্মের লোকজনের উপর হামলার ঘটনায় সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা প্রশাসনের। এমন মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফর উল্লাহ চৌধুরী।তিনি বলেন, প্রশাসন যদি আগের দিন সঠিক কেনা ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতো না। তাই এঘটনার দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না।
মঙ্গলবার (২৩ মাচর্) শাল্লার নোয়াগাও গ্রামের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ঘর বাড়ি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ ঘটনায় সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, জড়িত যেই দলের হোক না কেন তাকে যেন অপরাধীর চোখে দেখা হয়। এবং আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার নিশ্চিত করা হয়। এ সময় তার সাথে ছিলেন নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক জুনায়েদ সাকী, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ ইউ শাহীন ।

উল্লেখ্য, গত (১৫ মাচর্) সোমবার হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে শানে রিসালাত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। (১৬মাচর্) মঙ্গলবার রাতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মামুনুল হককে নিয়ে দেওয়া একটি আপত্তিকর পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ঝুমন দাসকে আটকের জন্য প্রতিবাদ মিছিল করলে ঝুমন দাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।এর পরদিন বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০-৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৩০ঘন্টা পর (১৮মার্চ) বৃহস্পতিবার শাল্লা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও গ্রামের বাসিন্দা হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ বকুল বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় প্রধান আসামীসহ মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

You might also like