শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে সিলেটে এসে বিয়েঃ ৯ বছর পর গ্রেফতার
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বিয়ের বছর যেতে না যেতেই শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে ছিলেন মেয়ের জামাই। এ ঘটনায় শ্বশুড় মতি মিয়ার দায়ের করা মামলায় রায়ের ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়াতুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানা-পুলিশ। তিনি দেড় বছরের সাজায় ৯ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন।২৫ জুলাই সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার আয়াতুলকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরআগে ২৪ জুলাই রোববার রাত ৯টায় জেলার আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতার আয়াতুল মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজসহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে সিলেটে এসে বসবাস করেছিলেন আয়াতুল। ৩ মাসের মতো সংসার শেষে শাশুড়ি নাসরিনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আয়াতুলের। আয়াতুল ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। পরে কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। প্রথম স্ত্রী মরিয়ম (নাসরিনের মেয়ে) বর্তমানে দেশের বাইরে থাকেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের মতি মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন আয়াতুল। একপর্যায়ে শাশুড়ির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পরে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে সিলেটে গিয়ে বিয়ে করে কয়েক মাস তারা একত্রে বসবাস করেন। এ ঘটনায় শ্বশুড় মতি মিয়া বাদি হয়ে আয়াতুলকে আসামি করে মোহনগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন ২০১১ সালে। পরে ২০১৩ সালে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে তাকে দেড় বছর কারাদ- দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদ- দেন বিচারক। এরপর থেকেই আমাতুল পলাতক ছিলেন। তবে বছর দেড়েক আগে মামলার বাদী মতি মিয়া মারা গেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমতাজ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যে জানতে পারি আয়াতুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন ও আটপাড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস করেন। গত রোববার রাত ৯টার দিকে এএসআই এমরুল রশিদসহ আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তিনি দেড় বছরের সাজায় ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন।এ তথ্য নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সোমবার দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।