শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর জনস্রোত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
মুন্সীগঞ্জঃ করোনাকালে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরতে নানাভাবে অনুৎসাহিত করা হলেও গত তিন দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ভিড় করছেন হাজার হাজার যাত্রী। দিনে ফেরি বন্ধ রেখে, রাতে পণ্যবাহী যান পারের নির্দেশনা থাকার পরেও মানুষের ভিড় বাড়ছেই। বিভিন্ন জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য থাকা ফেরিতে করে পারাপারও হচ্ছেন তারা।অবশ্য ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সড়কে বিজিবির চেকপোস্টের কারণে কোনও যাত্রীবাহী যান ঘাটে প্রবেশ করতে পারছে না। তবে নানা পথ ঘুরে, পায়ে হেঁটে, পাহারা গলে ঠিকই যাত্রীরা পৌঁছে যাচ্ছেন ঘাটে।
সোমবার (১০ মে) সকাল থেকে একটি রো রো ফেরিসহ তিনটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। আর এসব ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন ঘাটে অবস্থান নেওয়া যাত্রীরা। অবশ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করছে দুটি ফেরি ঘাট ছেড়ে গেছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য যমুনা নামের একটি ডাম্প ফেরি সকালে ছেড়ে গেছে। যদি নির্দেশনা আসে তাহলে রাতে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।অন্যদিকে, গত দুই দিনের মতো আজও জেলেদের মাছধরার ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। তবে, নৌপুলিশের অভিযানও অব্যাহত আছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোট ১৩টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর এ খবর নিশ্চিত করেছেন।তিনি আরও জানান, শিমুলিয়া ঘাটের পাশের এলাকা, মাওয়া মৎস্য আড়ত, কান্দিপাড়া থেকে ১৩টি ট্রলার জব্দ করা হয়। এসময় ট্রলার চালকসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।