সংসদে স্পিকারকে নিয়ে কোনো মন্তব্যের সুযোগ নেই : শিরীন শারমিন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
জাতীয় সংসদ ভবন থেকেঃ সংসদের অধিবেশন কক্ষ থেকে স্পিকারকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জাতীয় সংসদের বৈঠকে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে থামিয়ে দিয়ে এ মন্তব্য করেন।
এর আগে হারুনুর রশীদ গত ২৩ জুন বাজেটের ওপর আলোচনাকালে ওই সময় হাউসে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মন্তব্য নিয়ে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে হারুন বলেন, এই সংসদে বিব্রত করার জন্য নয়; বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছি।তিনি বলেন, বিগত সংসদগুলোতে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলেও দশম ও একাদশ সংসদের বিরোধী দলের চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।
বিএনপির সংসদ সদস্য বলেন, কার্যপ্রণালী বিধিতে সংসদ সদস্য ও স্পিকারের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে বিস্তারিত বলা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আপনার (স্পিকারের) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এখানে আপনার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার কোনও সদস্যের নেই।হারুন বলেন,গত ২৩ জুন বাজেটের ওপর আলোচনায় আমি ইন্নালিল্লাহি বলে শুরু করেছিলাম। তখন আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে বলেছিলাম, এর ব্যাখ্যা আমি পরে দেবো।
অতীতের হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ সাবেক কয়েকজন স্পিকারের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি আমাদের অভিভাবক। অতীতে অনেকে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনিও এখন চালাচ্ছেন। আমি এ ধরনের নজির দেখিনি—ওই খান থেকে (স্পিকারের চেয়ার) কখনও কোনও স্পিকার বলেছেন আমি উনার জবাব দেওয়ার জন্য একাই যথেষ্ট। আমরা সংসদে মাননীয় স্পিকারের মাধ্যম দিয়েই কথা বলি। আমি বক্তব্যের উত্তর মাননীয় সংসদ নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কিন্তু ওই জায়গা থেকে যে উক্তি করা হয়েছে, তা আমার সংসদের অভিজ্ঞতায় শুনিনি। কার্যপ্রণালী বিধির কোথাও এটা খুঁজে পাইনি।
এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দিলে উনি ওইখান থেকে কথা বললেন যে এটি বলা যাবে না। এটি বলতে পারবেন না।এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী হারুনকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, মাননীয় স্পিকার এই চেয়ারে বসে কী বলেছেন সেটার ব্যাপারে আপনি ওখানে দাঁড়িয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আপনি ফ্লোর নিয়েছেন। আপনি আপনার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে পারেন। আমি আপনাকে সেটার ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাবো। স্পিকারের বিষয় নিয়ে কোনও ধরনের উক্তি এখানে করা যাবে না।পরে হারুন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন এর বাংলা অর্থ পড়ে শোনান এবং ব্যাখ্যা দেন। বলেন, মানুষ মনে করেন, শুধু কেউ মারা গেলে ইন্নালিল্লাহি পড়তে হয়। কিন্তু তা নয়, এর বাইরে যেকোনও বিপদে ইন্নালিল্লাহি পাঠ করার বিধান রয়েছে। আর এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আমরা মুসিবতের মধ্যে আছি। আমরা মহাসংকটের মধ্যে আছি, এটা কী অস্বীকার করতে পারি? নিঃসন্দেহে বলতে পারি, সারা পৃথিবী মহাবিপর্যয়ের মধ্যে আছে।