সম্মেলনের কোনো নির্দেশনা নেত্রী দেননি: ছাত্রলীগ সভাপতি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ কর্মসূচির মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি তৃণমূল থেকে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়।ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সম্মেলন করার কোনো গাইডলাইন বা নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এখনও আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সম্মেলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- যারা এ ধরনের কথা ছড়াচ্ছে, আমরা মনে করি তারা গুজব ছড়াচ্ছেন। তাদের নিশ্চয় অন্য কোনো এজেন্ডা আছে।
আজকে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আমাদের দেননি। এ ধরনের যারা কথা যারা ছড়াচ্ছে, তারা গুজব ছড়াচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে; তাদের অন্য কোন এজেন্ডা আছে। সম্মেলনের নাম করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।
ছাত্রলীহ সভাপতি বলেন, আপার সাথে আমাদের আজ সাক্ষাৎ হয়েছে। আসলে করোনার সময়ে দেখা করা বন্ধ ছিল। কিন্তু আজ আমরা দেখা করতে পেরেছি। নেত্রী আমাদের ছাত্রলীগকে সবসময় তার ভালবাসার জায়গায় প্রথমে রাখেন। আমাদের তিনি অভিভাবক, অভিভাবক হিসেবে দেখা করা এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে। ওইদিক বিবেচনা করে আজকে আমরা দেখা করেছি এবং বিগত সময়ে আমরা যে প্রোগ্রামগুলি পালন করেছি এতে নেত্রী খুশি হয়েছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কারণে যে ফেস্টিভ মুডে বাংলাদেশে ছিল, এটা নিয়ে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা ৭ই মার্চের কর্মসূচি পালন করেছি, সেটা নিয়েও নেত্রী খুশি হয়েছেন। নেত্রী আমাদের সামনে বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নেওয়ার পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন। মুজিববর্ষ উদযাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নিয়েও নেত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জানান, করোনার মধ্যে আমরা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারিনি। আজ আমরা দুই জন গণভবনে গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেছেন। করোনাকালে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের তিনি প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি, বিশেষ করে যেসব জেলায় কমিটি নেই, সেগুলোতে দ্রুত কমিটি করার বিষয়ে বলেছেন। আমরা দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোতে কমিটি করবো। তিনি আমাদের সাংগঠনিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।২০১৯ সালের ১ অক্টোবর চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
তিন মাস পর, গত বছরের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে ভারমুক্ত করা হয় জয়-লেখককে। ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিন মাসের মাথায়ই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও একবছর অতিক্রম করছেন তারা। এদিকে গত বছর জয়-লেখক ভারমুক্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তাতে করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। করোনা সংক্রমণের কারণে ‘নিউ নরমাল’ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমসহ সাংগঠনিকভাবে বিভিন্ন সম্মেলনেও অনুষ্ঠিত করে। এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য পদগুলোও পূরণ করে জয়-লেখক।