সাহিত্যের নোবেল পেলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুল রাজাক

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

তানজানিয়া: এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন তানজানিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আব্দুল রাজাক গুর্নাহ। প্যারাডাইস নামে তার চতুর্থ উপন্যাসটির জন্য তিনি সম্মাননাটি পেয়েছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালে। তানজানিয়ায় বেড়ে উঠলেও ১৯৬০ সালের পর শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন এই সাহিত্যিক। অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি ক্যান্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নোবেল কমিটি নামটি ঘোষণা করে।

গত বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লুক। এর আগে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয়ী বাছাই কমিটি সুইডিশ একাডেমিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনার পর ২০১৮ সালে সাহিত্যের নোবেল স্থগিত রাখা হয়। সুইডিশ একাডেমির এক সদস্যের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন বেশ কয়েকজন সদস্য।নোবেল ফাউন্ডেশনের আস্থা ফিরে পেতে কমিটিতে ব্যাপক রদ-বদল আনার পর গত বছর সুইডিশ একাডেমি এক সঙ্গে দুই বছরের (২০১৮ এবং ২০১৯ সালের) সাহিত্যের নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করে। ২০১৮ সালের সাহিত্যের নোবেল জয়ী হিসেবে পোল্যান্ডের ওলগা তুকারচুক এবং পরের বছরের বিজয়ী অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকেকে বেছে নেয় সুইডিশ একাডেমি।

এ দিকে গেল ৪ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়। তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান। আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।

তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান এবং ডেভিড জুলিয়াস।অপর দিকে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন। এরা হলেন- জাপানি আবহাওয়াবিদ স্যুকুরো মানাবে, জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান এবং ইতালিয়ান পদার্থবিদ জর্জিও পারিসি।এছাড়া চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জার্মানির বেঞ্জামিন লিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ম্যাকমিলান। ‘অ্যাসাইমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস’ নামে অণু তৈরির নতুন এক কৌশল আবিষ্কার করে এ সম্মাননা জিতে নিয়েছেন তারা।উল্লেখ্য, ডিনামাইট আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেল ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। তার রেখে যাওয়া ওই অর্থ দিয়েই ১৯০১ সাল থেকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটির প্রচলন করা হয়।

 

You might also like