সাহেদের অস্ত্র মামলার চার্জশিট
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো.সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডিবির একটি দল এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।অভিযোগপত্রটি পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মামলার চার্জশিট আদালতে পাঠানোর কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,অস্ত্র মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য প্রমাণ দরকার হয়,আমরা সব কিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি এবং তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের একটি অস্ত্র মামলার তদন্ত আমরা শেষ করেছি।১৬৪ ধারায় দু্ই সাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং তদন্ত শেষে এ মামলার চার্জশিট আমরা বৃহস্পতিবারই দাখিল করতে যাচ্ছি।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, সাহেদ যখন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিলেন, তখন তার ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি। সেই অস্ত্র মামলায় আমরা আজই (বৃহস্পতিবার) চার্জশিট দাখিল করতে যাচ্ছি।তিনি বলেন, মামলা তদন্তের জন্য যে ধরনের সাক্ষী প্রয়োজন, সে ধরনের সাক্ষী আমরা আমাদের তদন্তে চার্জশিট ও মামলার ডকেটে (মামলার নথিপত্র) সব উপস্থাপন করেছি। এ ধরনের মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য প্রমাণাদি দরকার হয়, আমরা সব কিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি এবং তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে ১৫ দিনে চার্জশিট দাখিলের বাধ্যকতা রয়েছে, আমরা এর মধ্যেই করছি। অস্ত্র পজিশনে পাওয়া গেলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেটা তিনি যদি অস্ত্র ব্যবহার নাও করে থাকেন। ব্যালেস্টিক অস্ত্র প্রমাণ করার কোনো উপাদান সেখানে ছিল না। অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে আইন এটাই বলে যে পজিশন এবং নলেজ এ দু’টি যদি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন, কোনো ব্যক্তি অস্ত্র পজিশন রেখেছেন এবং তার নলেজে ছিল।গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সাহেদের প্রতারণার মামলার তদন্ত করছে র্যাব।