সিজন অব বাংলা ড্রামায় ছান্দসিকের ‘সাম্যের প্রেম‘

মানবিক প্রেমে সাম্যই একমাত্র সৃজনশীল বোধ জাগ্রত করতে পারে

সংস্কৃতি ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন, ১০ নভেস্বর: সমাজ ও মানবিক জীবনে মানবিক প্রেমেসাম্যই একমাত্র সৃজনশীল বোধ জাগ্রত করতে পারে বলে  অভিমতউঠে এসেছে ছান্দসিক আয়োজিত ইক্যুয়ালিটি অব লাভ বা সাম্যেরপ্রেম‘ অনুষ্ঠানে। টাওয়ার হ্যামলেটসের উদ্যোগে মাসব্যাপী সিজন অব বাংলা ড্রামা‘র প্রথম উপস্থাপনা ছিল আবৃত্তি সংগঠন ছান্দসিকের। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের হ্যানবারী স্ট্রিটে অবস্থিত কবি নজরুল সেন্টারে ছান্দসিক আয়োজনে ছিল আবৃত্তি, গান এবং কবি ও লেখক কথোপকথন।

বাচিকশিল্পী ও ছান্দসিকের কর্ণধার মুনিরা পারভীনের উপস্থাপনায় আবৃত্তিতে অংশ নেন বিলাতের প্রথিতযশা আবৃত্তিকারদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম সাগর, স্মৃতি আজাদ, বুলবুল হাসান, সৈয়দা সায়েমা আহমেদ ও নজমুল হক এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ফয়জুল ইসলাম ফয়েজ নূর। অনুষ্ঠানে আবহমান বাংলার কাব্য, গান এবং সৃজনশীল সাহিত্য কথা দিয়ে সাজানো একটি উপস্থাপনায় অংশ নেন মুনিরা পারভীন ও শতরূপা চৌধুরী।

ছান্দসিকের এ অনুষ্ঠানের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর আয়োজন ছিল কবি শামীম আজাদ ও  লেখক ড. সেলিম জাহান যুগলের সাম্যের প্রেম প্রতিপাদ্য বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক মুখোমুখি কথোপকথন, আবৃত্তি এবং প্রশ্নোত্তর। ড. সেলিম জাহান অধ্যয়ন জীবন থেকে শুরু করে তার কর্মজীবনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতিসংঘে কাজ করার সুবাদে বিশ্বমাত্রিক নানা অবলোকন, অভিজ্ঞতা, মানুষের সাম্য চিন্তার মানবিক বহু বিষয় কথোপকথনে তুলে আনেন। কবি শামীম আজাদ একইভাবে বাংলাদেশ এবং বিলাতে যাপিত জীবনে মানব প্রেম ও মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে সাম্যের নিরিখে হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপন করেন এবং হলভর্তি শ্রোতা ও দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। সবশেষে তিনি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায়  স্বরচিত একটি মুগ্ধকরা কবিতা পড়ে শোনান।

ছান্দসিকের  সাম্যের প্রেম উপস্থাপনাটি অত্যন্ত পরিশীলিত ও সৃজনশীল বলে দর্শক শ্রোতারা মন্তব্য করেছেন।  উপস্থিত সুধীজন মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন পুরো অনুষ্ঠানটি।