সিটি নির্বাচন কেউ যাতে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে : মায়া

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেউ যাতে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিটিংয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চাই। কেউ যাতে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।মায়া চৌধুরী আজ মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।মায়া বলেন, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচন দেশবাসী ও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, গাজীপুরের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি। নয়টি থানা, ৪৮০টি কেন্দ্র, ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে এটি বিশাল এলাকা। নির্বাচন সুষ্ঠু আবাদ করতে গেলে বিশাল কর্মী বাহিনী দরকার। তাই আমরা গাজীপুরে সর্বস্তরের জনগণ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার পক্ষের সব মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করে এই নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেখানে আমাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকবে। সেখান থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। থানাভিত্তিক কমিটি হবে। ভোটকেন্দ্রভিত্তিকও কমিটি হবে। স্তরে স্তরে কমিটিগুলো সাজাব। ৪৮০টির মধ্যে বেশিরভাগ কমিটি হয়ে গেছে। আগামী ৯ তারিখের আগে নির্বাচনের সব কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আশা করি নৌকার বিজয় হবে।জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মাথা ঘামাচ্ছে না জানিয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, তার বিষয়ে আওয়ামী লীগ মাথা ঘামাচ্ছে না।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক. ম. মোজাম্মেল হক, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপস্থিত ছিলেন।

You might also like