সিরিজ বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপি: কাদের

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিএনপি সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল। এছাড়া সব হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ডও বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সোমবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিরিজ বোমা হামলার ১৫তম বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৫ সালের এদিনে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মোজাহেদীন বাংলাদেশ জেএমবি সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহতসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়। সে সময় বিএনপির হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার ছিলো। দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি, নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, জনবল ও বোমা সরবরাহ এতসব একদিনে গড়ে উঠেনি।

তি‌নি ব‌লেন, রাষ্ট্রযন্ত্র সেদিন নীরব ছিল কেন? নিশ্চয়ই সরকার প্রশ্রয়দাতা আর পৃষ্ঠপোষক ছিল। না হলে কিভাবে এ দীর্ঘ প্রস্তুতি জঙ্গিরা গ্রহণ করলো। এদেশের রাজনীতিতে যেমনি ১৫ আগস্টের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকাণ্ডের সূচনা করেছিল তার ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। আবার দেখুন ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলাও সেই আগস্ট মাসে। তাই বলব- ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট আর ২১ আগস্ট এসব একই সুত্রে গাঁথা।এদেশে হত্যা, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদকে বিএনপিই প্রশ্রয় এবং লালন পালন করে ক্যান্সারে রুপান্তর করেছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

আগস্ট এলেই শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিকে তারা প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে প্রশ্রয় দেয় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর এদেশের মুক্তচিন্তাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে মুছে ফেলার জন্য। তাই আগস্ট এলে আমরা শঙ্কায় থাকি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে। ষড়যন্ত্রকারিরা এখনও সক্রিয় আছে। তারা সুযোগ খুঁজছে। শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গি গোষ্ঠির বিষদাঁত ভেঙ্গে দিলেও গোপনে গোপনে তাদের এখনও তাদের সক্রিয়তা প্রমান পাওয়া যাচ্ছে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

You might also like