সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৩ উপজেলায় বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুন শনিবার সকালে দিরাই’র হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ১ জেলে ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধোপাজান চলতি নদীতে বালুপাথর সংগ্রহের সময় বজ্রপাতে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, বজ্রপাতে নিহতরা হলেন সলুকাবাদ ইউনিয়নের ঝিনারপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (২৭), মাঝেরটেক গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (৩৬) এবং দিরাই উপজেলার আবদুল মালিক (৫০)।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে উপজেলার ধোপাজান চলতি নদীতে বালু সংগ্রহের সময় বজ্রপাতে ২ শ্রমিক আকস্মিক বজ্রপাতে মারা যান।এদিকে দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে জেলে আবদুল মালিক মারা যান। মৃত্যুর খবর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় হাওরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এদিকে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় মোস্তফা মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর এলাকার মৃত আরফান আলীর ছেলে, পেশায় তিনি কাঠমিস্ত্রি। ১৭ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় উমনপুর গ্রামের নুরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে বজ্রপাত হলে মোস্তফা মিয়া মারা যান।
জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুরের ইউএনও আল-বশিরুল ইসলামের নির্দেশে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি শোকাহত পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় পরিবারের অন্যরাসহ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, গত ১৬ জুন শুক্রবার দুপুরে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল গফুর (৫৫) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।