সিলেটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন মৎস্য বিভাগ চিন্তা ও পরিশ্রমে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে আমরা দ্বিতীয় :মোঃ জাকারিয়া
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকারিয়া বলেছেন, অবৈধ জাল ও বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। তাহলে মাছের বংশবিস্তার বৃদ্ধি পাবে। আমাদের খাল, বিল, পুকুর ও নদ-নদীতে দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই সাথে মৎস্যজীবীদেরকে মাছ চাষাবাদে আগ্রহী করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাছ উৎপাদনে ময়মনসিংহ জেলার অনুসরণ করলে সিলেটও মাছ চাষে এগিয়ে যাবে।সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৎস্য বিভাগ যেভাবে কাজ করছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। মৎস্য বিভাগের চিন্তা-ভাবনা এবং পরিশ্রমের ফলেই আমরা মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি।রোববার ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা মৎস্য সিনিয়র সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন ও সদর উপজেলা ক্ষেত্র সহকারী রুলী খাতুনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, নৌ পুলিশ সুপার সম্পা ইয়াসমিন, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, মহানগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আ’লীগ সভাপত্বি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী।বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্য বিশেষজ্ঞ গোপাল চন্দ্র দত্ত, মৎস্যজীবী প্রতিনিধি সুশেন্দ্র চন্দ্র নম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মৎস্যচাষী মোঃ আনোয়ার হোসেন।এদিকে, আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসন ভবন প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে কিনব্রিজ সংলগ্ন সুরমা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করে সপ্তাহব্যাপী মৎস্য সপ্তাহ এর উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকারিয়া।অপরদিকে, এ বছর মাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সিলেট জেলার ৩ জন মৎস্য চাষীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হচ্ছেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আনোয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জের হাজী এনায়েত হোসেন ও গোয়াইনঘাটের ফয়েজ আহমদ।###