সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাথে সিলেট বিভাগ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট বিভাগ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আশফাক আহমদ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সিলেট বিভাগ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান,সিলেট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান,সাধারন সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা মো. কামাল আহমদ,হরিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদির লস্কর,সাধারন সম্পাদক ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম,মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম,বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.সুয়েব আহমদ,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল,শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ,শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস,দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী,জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ,বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন,ছাতক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন,বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ্জত আলী,দিরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট রিপা সিনহা,শান্তিগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার,জামালগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দি,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার,ধর্মপাশা ভাইস চেয়ারম্যান বিল্লাল নুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াছমিন আক্তার,প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট বিভাগ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আশফাক আহমদ বলেছেন,এই সংগঠনটি করার উদ্দেশ্যে হলো আমাদের কোন জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য নহে। এটা হচ্ছে জনসাধারনের কল্যাণে এবং আমরা যারা জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নিার্বচিত হয়েছি তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তিনি বলেন হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের কোন কার্যক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপজেলা চেয়ারম্যানগনের অনুমতি এবং মতামতের মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে সরকারী কোন বরাদ্দ কিংবা ফাইলটা গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা উপজেলা চেয়ারম্যানগণ উপেক্ষিত থাকেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এগিয়ে নিতে আহবান জানান।তিনি বলেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা কুমিল্লায় সনাতন ধর্মবালম্বীদের দূর্গপূজা চলাকালীন সময়ে পূজামন্ডপে হামালা ভাংচুর করেছে। তারা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্থ করতে এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে। তাই আমরা সকল জনপ্রতিনিধিরা এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির বিষদাতঁ ভেঙ্গে দিতে বঙ্গবন্ধ ও শেখ হাসিনার অগ্রসৈনিক হিসেবে সকল উপজেলা চেয়ারম্যানগণ প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে তাদের নীল নকসা ও সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষনা দেন। তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনার যে লক্ষ্যে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে বিশে^ একটি উন্নত বাংলাদেশে তৈরী করা। জাতির পিতার এই সোনার বংলা গড়ে তুলতে হলে স্থানীয় সরকার যেমন জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের যে শ্লোগান গ্রামকে শহরে পরিণত করার সেটা বাস্তবায়িত হবে না। তিনি বলেন এপিল্যাড ডিভিশন থেকে যে পরিপত্রগুলো জারি করা হয়েছে তা সাংবিধানিকভাবে সংবিধানের পরিপস্থি এবং সাংঘর্ষিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই ব্যাপারে মামলা করা হলে মামলার রায় তাদের অনুকূলে বলে জানান। কিন্তু আমলারাই এই রায়কে দীর্ঘ সূত্রিতা পন্থা অবলম্বন করছে।