সুনামগঞ্জে একদল তরুণদের উদ্যোগে মানসিক ও প্রতিবন্ধী ৩০ জনের মধ্যে খাবার বিতরণ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে সুনামগঞ্জ শহরের যাত্রীছাউনী ও শপিং মহল ও মার্কেটগুলোর বারান্দায় আশ্রয় নেয়া ভাম্যমান,মানসিক ভারসাম্যহীন ও প্রতিবন্ধী ৩০ জনের মধ্যে একশত দিনে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের একদল তরুণদের উদ্যোগে শহরের জেলা পরিষদের সামনে একশত দিনে ঐ সমস্ত ক্ষুধার্ত মানুষজনের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন একদল তরুণ সমাজের পক্ষে ব্যবসায়ী রোহেল মিয়া, ইউপি সচিব জগন্নাথ বণিক,সিএনজি ড্রাইভার মোঃ হাফিজুর রহমান,ডাক্তার দেবব্রত বণিক,ব্যবসায়ী চন্দন রায়,এডভোকেট সুজিত বণিক,ব্যবসায়ী জনি বণিক,নারায়ন বনিক,ঝোটন বনিক,রামু বণিক,রোমন বণিক,ইউপি সচিব ফুলেন সূত্রধর ও ইউপি সচিব মিলটন তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য এই প্রাণঘাতি করোনার প্রকৌপ গত ২৬ জুন মার্চ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই সুনামগঞ্জ শহরের সকল হোটেল রেস্তোরা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এই সমস্ত ভ্রাম্যমাণ, মানসিক ভারসাম্যহীন ও প্রতিবন্ধী মানুষগুলো খাদ্যসংকটের কারণে অবুক্ত থাকেন তখনই তাদের মাঝে সাড়া জাগায তারা নিজ উদ্যোগে বেশ কয়েকজন তরুণ সংগঠিত হয়ে তাদের হাতের রান্না করা খাবার প্রতিদিন দুপরে ঐ সমস্ত অবুক্ত মানুষজনের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। আজ খাবার বিতরণের ১০০ তম দিন অতিবাহিত হলো। তাদের দাবী এই সমাজে অনেক বৃত্তবানরা রয়েছেন যাদের একটু প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাস চলাকালে যতদিন হোটেল ও রেস্তোরা বন্ধ থাকবে ঐ সমস্ত অবুক্তাদের মধ্যে নিয়মিত খাবার বিতরনে যেন তাদের হাতটা প্রাসরিত করে মানুষজনের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান তারা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেছেন ভাসমান এই অবুক্ত মানুষজনকে যে গত একশতদিন ধরে নিজেদের প্রচেষ্টায় খাবার পরিবেশন করে আসছেন সত্যি এটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মহতি কাজ। আজ এই কার্যক্রমের একশতদিন অতিবাহিত করেছেন এজন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।ইতিমধ্যে সরকার ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অবুক্তদের খাবারের জন্য এক মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে ও তিনি জানান।