সুনামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলার ১১১টি পূজামন্ডপের নেতৃবৃন্দের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৫লাখ ৯০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।শনিবার দুপুর ১২টায় ধর্ম মন্ত্রনালয় বিষয়ক হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে এবং মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সুনামগঞ্জের সহযোগিতায় শহরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ বাড়ি প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্ম মন্ত্রনালয় বিষয়ক হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট্রি ইজ্ঞিনিয়ার পি কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সুনামগঞ্জের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রবীন আচার্য্যর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসীম বণিক,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,শ্রী শ্রী জগন্নাথ বাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ধূর্জুটি কুমার বসু,শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে,সাধারন সম্পাদক যোগেশ^র দাস,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐকৗ পরিষদের সভাপতি দীপক ঘোষ,জেলা পূজা উদাযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়,সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক, শ্রী শ্রী জগন্নাথ বাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক বিজয় তালুকদার বিজু,শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় দূর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন,শান্তিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুরজ্ঞিত চৌধুরী টপ্পা। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন,মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের কম্পিউটার অপারেটর যীশু কুমার দাস,ফিল্ড সুপার ভাইজার পুল্লাদ কুমার ও শফিকুর ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ধর্ম মন্ত্রনালয় বিষয়ক হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট্রি ইজ্ঞিনিয়ার পি কে চৌধুরী বলেছেন, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট্র একটি ছোট সংস্থা। এটি ৩৩ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠা করা হলেও এটির একিট অর্ডিনেন্স ছিল অনেকদিন থেকেই বিভিন্ন দাবী দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১৮ সালে এটি একটি আইনে পরিণত হয়েছিল হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট নামে। প্রধানমন্ত্রী এই সংস্থাটিকে কার্যকর করার জন্য প্রথম একটি প্রকল্প দিয়েছেন সমগ্র দেশের ১৭ শতাধিক মন্দিরে প্রথম বরাদ্দ দিয়েছিলেন ২৩০ কোটি টাকা পরবর্তীতে তা সংশোধন করে বরাদ্দ বাড়িয়ে করেছিলেন ২৭৫ কোটি টাকা। তিনি আরো বলেন,স্বাধীনতা পরবর্তী এই দেশে অনেক সরকার এসেছে কিন্তু আমাদের এই বয়সে কোনদিন দেখিনি কোন সরকার মন্দিরের উন্নয়নের জন্য দশ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি মন্দিগুলোতে অনুদান দিয়ে এবং স্বীকৃতি দিয়ে প্রমান করেছেন আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই দেশের একজন নাগরিক। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। হিন্দু নেতৃবৃন্দরা জগন্নাথ বাড়ি মন্দিরের ভবণের কাজ আটকে থাকায় ট্রাস্টির সহযোগিতায় সরকারের মাধ্যমে আরো অনুদানের দাবীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন সরকার এই কাজটি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেছেন,সম্প্রীতির জেলা হিসেবে গান বাজনা করার ক্ষেত্রেকিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন তা হলো অন্য ধর্মের আযানের সময় যেনো মাইক কিংবা গান বাজনা বন্ধ রাখা হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে তিনি হিন্দু কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।পরে নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিসদের নেতৃবৃন্দের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

You might also like