সুনামগঞ্জে হাতে লাঠি নিয়ে হরতাল পালনে হেফাজত নেতাদের সাথে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ মুসলমানদের উপর হামলা ও গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ন্যায় রবিবার সকাল ৬ টা থেকে হাতে লাঠি সুটা নিয়ে হরতাল কর্মসূচি পালন করছে হেফাজতের নেতা কর্মীরা। তবে সরকারী দল হিসেবে সকাল থেকে মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হেফাজতের নেতারা হাতে লাঠি, সুঠা নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মটর সাইকেল দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্টে হেফাজতের প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল।দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল ও আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউল হকের নেতৃত্বে শহরের রমিজ বিপণীস্থ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মিছিল করে ট্রাফিক পয়েন্টে আসলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সাথে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কিছু ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, যুবলীগ নেতা এড. কল্লোল তালুকদার চপল, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, সবুজ কান্তি দাস, নুরুল ইসলাম বজলু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. মো. আবুল হোসেন, সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমদ উজ্জল, সহসভাপতি ফয়সল আহমেদ, পিন্টু বণিক, যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সাজ্জাদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহ সাংগঠনিক এনাম আহমদ, সদর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফরহাদ, সাবেক সদস্য হাসানুজ্জামান ইস্পানী, সামিয়াম তাজুল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তি দে, ছাত্রলীগ নেতা অমিয় মিত্র প্রমুখ।এদিকে সুনামগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, আলফাত স্কয়ার পয়েন্ট, বক পয়েন্ট, কাজীর পয়েন্ট, নবী নগর পয়েন্ট, ওয়েজখালী পয়েন্ট, নতুন বাসস্ট্যান্ডসহ সব জায়গায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা হাতে
লাঠি নিয়ে রাস্তায় বসে আছেন। দুর দুরান্ত এবং শহরেও কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না হেফাজতের নেতা কর্মীরা। অন্যদিকে শহরে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেই জন্য শহরের প্রত্যাকটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হেফাজত নেতা মাওলানা আব্দুল রকিব জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করছি, আমাদের দাবি কেন সরকার দলীয় লোকের দ্বারা মসজিদে হামলা করা হলো ও পুলিশের গুলিতে মুসলমানদের মারা হলো তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা হেফাজতের সভাপতি শেখ মাওলানা আব্দুল বছির,সাধারন সম্পাদক মুফতি আব্দুল হক আহমদি,মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল রকিব, মাওলানা রফিক আহমদ, মাওলানা তুহা, মুফতি আজিজুল হক, মাওলানা রুকন উদ্দিন, মাওলানা মহিবুর রহমান শিবলু, মাওলানা আলী হোসেন খান, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা দেলোয়ার, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা নুরুল মুক্তাকিম প্রমুখ।সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান জানান, শহরে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেই জন্য আমরা শহরের প্রত্যাকটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করেছি।