সুনামগঞ্জের পুরাতন কোর্টের পেছনে দুগ্ধ খামার থেকে গাভী গুলো বের করে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খামার মালিক
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন কোর্টের পেছনে ১৪ বছরের প্রতিষ্ঠিত ভাড়াটিয়া দুগ্ধ গরুর খামার থেকে হঠাৎ করে গাভীগুলো রাতে বের করে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খামার মালিক ও স্বজনরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দুগ্ধ খামার মালিকের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাসভবণের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন দুগ্ধ খামারের দেলোয়ার হোসেন দুলাল,তার সহধর্মিনী শামীমা নাসরিন,মেয়ে জার্না জুবাইদা শারমিন ও ছেলে অর্নিক প্রমুখ।
খামার মালিক বলেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার পুরাতন কোর্টের পেছনে (বর্তমানে ঐতিহ্যবাহি যাদুঘরের) পেছনে সরকারী পরিত্যক্ত ২৫ থেকে ৩০ শতক জায়গার উপর মৌখিকভাবে বলে ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে টিন ও বাশঁ দিয়ে একটি খামার গড়ে তুলেন দিলোয়ার হোসেন দুলাল । তিনি শহরের তেঘরিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। এই জায়গাটুকুতে ২০২০ সালে বন্যার আগে ছোটবড় দেশী বিদেশী প্রায় ৬০টি গাভী নিয়ে দুগ্ধ খামারের যাত্রা শুরু করেন। ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খামারটি পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মূখ্য সচিব নজিবুর রহমানসহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল,পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমীন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান,সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার(ভারপ্রাপ্ত) মো.তাহমিদুল ইসলাম ও তৎকালীন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ; আব্দুল আহাদ প্রমুখ। খামারটি চালু করার সাথে সাথে উর্ধবতন কৃর্তপক্ষ এই জায়গাটুকুতেু খামারটি স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরার্মশ প্রদান করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। দুগ্ধ খামার চালুর সাথে সাথে ৬০টি গাভীর মধ্যে বন্যায় গোখাদ্য সংকট ও ঠান্ডায় ২৭টি গাভী মারা যাওয়ায় দুধ উৎপাদন কমে যায়। এই জায়গাটুকু বন্দোবস্ত আনার লক্ষ্যে চলতি বছরের পহেলা জুন প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন বলেও জানা যায়। গতকাল সোমবার রাতে হঠাৎ করে জজকোর্টের নাজির মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে খামারের সকল গরু ও গাভীগুলোকে বের করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ২দিন যাবত কোলা আকাশের নিচে গরুগুলো রয়েছে । বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী,প্রধান বিচারপতিসহ প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট খামারের জায়গাটুকু বন্দোবস্ত প্রদানসহ অমানবিক উচ্ছেদের বিচার দাবী করেন খামার মালিক ও পরিবারের সদস্যরা।এ ব্যাপারে জজকোর্টের নাজির মো. কামরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এটা আমার বিষয় না এখানে জেলা প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষরা অবগত আছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন,কেহ সরকারী জায়গাতে বন্দোবস্ত ছাড়া কোন খামার গড়ে তুলতে পারেন না। এই জায়গাটুকুতে এক সময় আদালত প্রাঙ্গণ ছিল।এই জায়গাতে বিচারকদের মধ্যে বাংলা তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে।