সূর্যালোকে সিলেটে স্বস্তি কিছুটা কমেছে নদ-নদীর পানি

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ ঈদের আগের দিন থেকে টানা ৬দিন বৃষ্টিপাতের পর ৪ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটের আকাশ রোদ ঝলমলে। সিলেটবাসীর কাছে এটি স্বস্তির রোদই বলা যায়। বৃষ্টি থামায় এবং রোদ উঠায় কেটেছে স্যাঁতসেঁতে ভাব, কমতে শুরু করেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি।সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৬ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০৭ মিলিমিটারের বেশি।মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় সিলেটে দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারে।

নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে ১০ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১০ দশমিক শূন্য ১ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ১০ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেখানে ১০ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকালে সেখানে ৯ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায়ও পানির একই উচ্চতা ছিল।লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যায় ১২ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। সারী নদের সারীঘাট পয়েন্ট পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ছিল ১১ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার।

You might also like