সেই বিজন কুমার শীল বরখাস্ত

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদ দেখাতে না পারায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘জিআর-কোভিড-১৯ র‌্যাপিড টেস্ট’ কিট উদ্ভাবক বিজ্ঞানী গবেষক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীলকে অব্যাহতি দিয়েছে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এবিষয়ে কোভিড-১৯ গবেষণা বিভাগের সমন্বয়কারী ডা. মুহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, গত জুলাই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আমরা যখন আবেদন করি তখন সরকার উনাকে যে ভিসা দেন- সেই ভিসা দিয়ে উনি কাজ করতে পারবেন। সেই জন্য পরবর্তীতে আবার ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে।গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক দফা নাগরিকত্ব সনদের প্রমাণ দিতে বলা হলেও তিনি দিতে পারেননি। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।এবিষয়ে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. লায়লা পারভীন বানু বলেন, গত ১ জুলাইয়ের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উনার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

প্রসঙ্গত, বিজন শীল নাটোরের বনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘জিআর-কোভিড-১৯ র‌্যাপিড টেস্ট’ কিট উদ্ভাবক বিজ্ঞানী গবেষক দলের প্রধান। ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানো ভ্যাকসিন, ২০০২ সালে ডেঙ্গু ও ২০০৩ সালে সার্চ ভাইরাসের র‌্যাপিড টেস্টের কিট উদ্ভাবন করেন। বিজন কুমার শীল বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করলেও তার মেয়াদ গত ১৬ মে শেষ হয়েছে। গত ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট আত্মসমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

You might also like