সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
সৌদি আরবঃ গত বছরের মতো এ বছরও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পালিত হবে পবিত্র হজ। সীমিত পরিসরে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৌদি আরবে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। বাইরের দেশ থেকে কেউ অনুমতি না পেলেও সৌদি আরবে থাকা ১৫০টি দেশের নাগরিকসহ এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন ৬০ হাজার মানুষ।হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। পবিত্র মক্কায় হাজীদের বায়তুল্লাহ জিয়ারত, আরাফাতের ময়দানে অবস্থানসহ আনুষঙ্গিক আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে হজ পালিত হয়। বিত্তবান ও শারীরিক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ এবং প্রতি বছর কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
তবে চলমান করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এ বছরও হজ পালিত হবে সীমিত পরিসরে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অবশ্য এ বছরই প্রথমবারের মতো হজ সম্পাদনে মুসল্লিদের ব্যবহার করতে হবে স্মার্ট কার্ড। এই স্মার্ট কার্ডের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হজে অংশগ্রহণকারীদের সব তথ্য জানা যাবে।সৌদি আরবের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে মক্কায় পৌঁছাবেন এবারের হজে অনুমতি পাওয়া মুসল্লিরা। পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে মাত্র ৬০ হাজার মুসল্লি এবার হজে অংশ নিচ্ছেন। হজের অনুমতি পাওয়া সবাই কোভিড-১৯ টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছেন। বড় ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা নেই, এমন ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরাই এবছর হজের অনুমতি পেয়েছেন।এর আগে আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, বিভিন্ন স্থানে হাজিদের সেবা দিতে ৪৫টি স্ট্রোক সেন্টার থাকবে। জাবালে রহমত এলাকায় ২৩টি ও মিনা প্রান্তরে থাকবে ২২টি। এছাড়াও ৪২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থাকবে। হজের স্থানগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করবে ৩২টি চিকিৎসক দল ও ৩৬টি অ্যাম্বুলেন্স।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত ৪টি অভ্যর্থনা গেটের মাধ্যমে হাজীদের পবিত্র কাবা শরীফে প্রবেশ করতে হবে। এই চারটি অভ্যর্থনা গেট হচ্ছে- আল জাইদি, আল নুরিয়া, আল শারায়েই ও আল নাসিম। এই গেটগুলো ছাড়া মসজিদুল হারামে অন্য কোনো স্থান দিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই।সৌদি আরবের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র এক হাজার মানুষ। মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ২৫ লাখ।আগামী ৮ জিলহজ (১৮ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে হজ শুরু হবে। এরপর দিন ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন হাজীরা। পরদিন ১০ জিলহজ মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ ও কোরবানি করেন হজ পালনকারীরা।