হকারবিহীন সিলেটের ফুটপাতঃ মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রশংসিত

সিলেট অফিস
সত্যবাণী

সিলেট: দীর্ঘদিন থেকে ভাসমান হকারদের দখলে থাকা সিলেট নগরির ফুটপাতগুলো বর্তমানে দখলমুক্ত। সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)’র মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় হকার বা ক্ষুদ্র ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে গত ৩ দিন থেকে নগরবাসী অনেকটা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন। এতে করে নগরবাসীর মাঝে যেমন স্বস্তি ফিরে এসেছে তেমনি আনন্দিত ব্যবসায়ী মহলও। রমজান ও পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের আগে হকার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত করে নগরবাসীকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরি উপহার দেয়াতে প্রশংসায় ভাসছেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

নগরবাসী ও ব্যবসায়ী মহল স্যোশাল মিডিয়া ও পত্রিকায় বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে। অনেকেই হকারমুক্ত নগরির ছবি ও ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মেয়রকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
নগরবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা ফুটপাত দখলমুক্ত করায় সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি ও সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
১২ মার্চ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক অভিনন্দন বার্তায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে সাধারণ জনগণের চলাচলের ফুটপাত দখল করে হকাররা ভাসমান ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এ অবস্থায় সিলেটের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত সিসিক কর্তৃপক্ষকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি জানান। অবশেষে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ফুটপাত দখলমুক্ত হয়।
ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি নগরিতে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড বন্ধের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। মেয়রের প্রচেষ্টায় এ সমস্যারও সমাধান হবে বলে তারা প্রত্যাশা করেছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলার আহবায়ক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সদস্য সচিব এবং সিলেট নগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদ সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, কেন্দ্রীয় দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মো. নাহিদুর রহমান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়াজ আজিজুল করিম, নগর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মল্লিক মুন্না, মিরাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফয়েজ আহমদ দৌলত, লালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জায়েদ খান, কেন্দ্রীয় দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর আহমদ, কালিঘাট ডাকবাংলো রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সৈয়দ জায়েদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য শাহ আহমেদুর রব, নজরুল ইসলাম সুমন, জেলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাসেল আলী, মধুবন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আলী আফিক, শুকরিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফুয়াদ বিন রশিদ, ট্রেড সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাশুক আহমদ, সদস্য ও নওয়াব আলী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন আলী, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন, মিতালী ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক, নয়াসড়ক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহমিদুল হাসান জাবেদ, দরগাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মুফতি নেহাল, ওয়াহিদ ভিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন সুমন, ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব এস, মুক্তিযোদ্ধা গলি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুক আহমদ।

You might also like