হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাইকে স্ব-পরিবারে উচ্ছেদের পায়তারা করছে প্রবাসী ভাই
শরিফ চৌধুরী
সত্যবাণী
হবিগঞ্জ থেকেঃ জমি বিক্রি করার প্রায় ১৮ বছর পর লোভের বর্শীভূত হয়ে সিনিয়র আইনজীবি ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাইকে স্ব-পরিবারে উচ্ছেদের পায়তারায় লিপ্ত হয়েছেন তারই সহোদর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওয়াহেদ ও তার দলবল।এমনকি ওই বাসা দখলে নিতে মৃত্যুশয্যায়ী ভাই ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন ওই প্রবাসী। এমন পরিস্থিতিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় উক্ত ভূমিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ওয়াহেদসহ ৭ জনকে আসামি করে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলাটি করেন আইনজীবি আব্দুল হাইয়ের পক্ষে তারই পুত্র আব্দুল হান্নান।হবিগঞ্জ শহরের বদিউজ্জামান খান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়,ওই সড়কের বাসিন্দা মৃত আব্দুল মতলিব মিয়ার পুত্র সিনিয়র আইনজীবি ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাইয়ের নিকট তারই আপন ভাই বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আব্দুল ওয়াহেদ ২০০৩ সালের ২৩ আগষ্ট ৩৪৮৩ নং রেজিস্ট্রি কবলা মূলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতান মাহমুদপুর মৌজার জেএল নং ১৭,এসএ খতিয়ান নং-১৫১১, আরএস খতিয়ান নং-৪৩৩৬, এসএ দাগ নং-২৬২২ ও ২৬২৩, আরএস দাগ নং-৪০৪২, এর পুকুর রকম ৬ শতক ৯৭ অযুতাংশ ভূমি বিক্রি করে দখল সমজিয়ে দেন।ওই বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আব্দুল ওয়াহেদের অর্থের প্রয়োজন দেখা দিলে আইনজীবি আব্দুল হাইয়ের নিকট থেকে তৎকালীন বাজার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে উক্ত ভূমি মৌখিকভাবে বিক্রি করে দেন। তারা দুজন আপন ভাই হওয়ায় তাৎক্ষনিক ওই ভূমির রেজিস্ট্রি দলিল সম্পাদন না হলেও জমির বিষয়ে টাকা লেনদেন করেন। ওই বছর আইনজীবি আব্দুল হাই তার ক্রয়কৃত পুকুরটি মাটি ভরাট করে ভিট শ্রেণিতে রূপান্তর করেন এবং নিজের প্রয়োজনে ৩ তলা ফাউন্ডেশনযুক্ত এক তলা পাকা দালান ঘর নির্মাণ করে অদ্যাবদি উক্ত জমি ভোগ দখল আসছেন। কিন্তু এতোদিন আপত্তি না জানালেও দীর্ঘ অনেক বছর পর হঠাৎ করে জমির মালিকানা দাবি করছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আব্দুল ওয়াহেদ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর কিছুদিন আগে হঠাৎ করে দেশে আসেন এবং অপর ভাই আব্দুল কাইয়ুমসহ অন্যান্য আসামিদের নিয়ে বাদিকে জোরপূর্বক ওই বাসা থেকে উচ্ছেদের পায়তারায় লিপ্ত হন।এরই অংশ হিসেবে ওয়াহেদ গং ওই বাসা দখল করতেও যান।এতে বাদী পক্ষ বাধা দিলে উভয়পক্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং গত ৬ সেপ্টেম্বর ওয়াহেদ গং আইনজীবি আব্দুল হাই ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করে।এমন পরিস্থিতিতে আসামি ওয়াহেদ গং বাদিপক্ষকে যাতে জোরে বলে উক্ত ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও বাসা বাড়ি দখলসহ শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।উল্লেখ্য, আইনজীবি পুত্র আব্দুল হাইয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার বৃদ্ধ মা প্রবাস থেকে দেশে এসে তাকে দেখতে চাইলেও ওয়াহেদ গং দেখতে না দিয়ে তাকে আটকে রাখে।