১৯৭৫ এর পর ২১ বছর বাংলাদেশের ইতিহাস উল্টোভাবে চলেছে: বাগেরহাটে সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা
ঢাকা অফিস
সত্যবাণী
ঢাকা: ১৯৭৫ এর পর ২১ বছর বাংলাদেশের ইতিহাস উল্টো পথে চলেছে। সম্প্রীতি নষ্ট করা হয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ্য রুপ বাঙ্গালি জাতি দেখেছে। ইতিহাস বিকৃতিকারীরা ও সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা কখনোই মানুষের ভালো চায় না। তারা এখনও আমাদের মাঝে থেকে দেশের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছে। সময় এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার রাতে বাগেরহাট জেলা শহরের এসিলাহা মিলনায়তনে এক সম্প্রীতি সমাবেশে এ কথা বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বন্ধন তৈরীতে গড়ে তোলা সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের অরাজনৈতিক সংগঠনের বাগেরহাট জেলা কমিটির আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ও সম্প্রীতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা দেশ ও জাতির সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছি। আমাদের এ সংগঠন ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের এ কাজ চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা দেশের ১৭ টি জেলায় সম্প্রীতি সমাবেশ করেছি। প্রান্তিক জনগোষ্টিসহ সর্বস্তরের মানুষ কে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার রাখতে আমাদের এই চেষ্টা।
সম্প্রীতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, দুখজনক ভাবে আমাদের দেশে পরাজিতরা ইতিহাস রচনার চেষ্টা করেছে এবং দীর্ঘদিন নতুন প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস শিক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা করেছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার আহবায়ক অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য সচিব শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন, জেলা আইনজীবি সমিতি সভাপতি ড.একে আজাদ ফিরো টিপু, ষাটগম্ভুজ ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব তাবেদার-ই রসুল চান্নু, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সম্পাদক আহাদ হায়দার প্রমুখ।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য্যনির্বাহী সদস্য শফিক রেনজার। বাগেরহাট জেলা শহরে ব্যাতিক্রম ধর্মী এ সমাবেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে জেলা কমিটির আয়োজনে কুষ্টিয়ার বাউল শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে বাউল সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।