৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনঃ বিয়ানীবাজারে আলোচনায় আ’লীগের ৫ নেতা
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ একদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। অন্যদিকে কারা হচ্ছেন প্রার্থী এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনায় ব্যস্ত প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজারের সাধারণ মানুষ। দলীয় প্রার্থী দেবে না আ’লীগ এমন সংবাদে নির্বাচনী মাঠ আরো জমতে শুরু করেছে। তবে শেষ মুহুর্তে ব্যক্তি গ্রহণযোগ্যতাসহ এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই ভোটের মাঠে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা জানান, এখনো পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আওয়াল, জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল বারী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন।
উপজেলা জুড়ে নীরবে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এই ৫ রাজনীতিবিদ। তবে আঞ্চলিকতা ফ্যাক্টর হতে পারে এ নির্বাচনে, এমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোসহ নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে। তবে শেষ মুহুর্তে কারা ঠিকে থাকতে পারবেন নির্বাচনী মাঠে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ ভোটারদের মুখে।
উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান বলেন, সব এলাকায় কম বেশ যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। জনগণ আবারো নির্বাচন করার জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে, তবে এখনো যেহেতু হাতে সময় রয়েছে সুতরাং মাঠের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
জেলা আ’লীগের সদস্য আব্দুল বারী বলেন, আমি নির্বাচন করছি এটা নিশ্চিত। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কখনো কাউকে ঠকাইনি। আশা করি জনগণ বিবেচনা করবে। আমি আমার প্রস্তুতি সঠিক ভাবেই নিচ্ছি। নিজ ইউনিয়ন এবং উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষকে নিয়েই নির্বাচন করবো।
উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল বলেন, দলের নেতাকর্মীসহ অনেকেই আমাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য বলছেন। তবে আমাদের দলের কর্ম-কৌশল এবং কর্ম পরিকল্পনা কি তা বুঝে সময়মতো সকলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলার মানুষের পাশে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত আমি নির্বাচন করবো এটা শতভাগ নিশ্চিত। মানুষের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আশা করি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকবে।