জনগণকে জিম্মি করার পুরানো খেলায় মত্ত সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
তুচ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথায় কথায় সড়ক অবরোধ করে জনগণকে জিম্মি করার পুরানো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেটের পরিবহন সেক্টরের নেতা-কর্মীরা। আবারও সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
দক্ষিণ সুরমা থেকে সংবাদদাতা জানান, ১৬ মে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার তেলিবাজার ও চন্ডিপুল এলাকার মধ্যেস্থলে সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টা দিকে পুলিশের সাথে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর গণমাধ্যমকে জানান, ২০২১ সাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসা ও বিভিন্ন ভাতা বাবদ ৩০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমার তেলিবাজার এলাকায় এই চাঁদা সংগ্রহের সময় আমাদের কয়েকজন পরিবহন শ্রমিককে আটক করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা তেলিবাজার ও চন্ডিপুল এলাকায় অবরোধ করেন। পরে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। বর্তমানে মহাসড়কে অবরোধ প্রত্যাহার করেছে শ্রমিকরা।
এদিকে, অবরোধের ফলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। একদিকে হুমায়ুন রশীদ চত্বর-চন্ডিপুল থেকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার পর্যন্ত দু’পাশে আটকা পড়ে বিপুলসংখ্যক যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমার এক স্কুলের শিক্ষক মামুন আহমেদ (৪৬) বলেন, কথায় কথায় সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় আমাদের অমানবিক দুর্ভোগে পড়তে হয়। পরিবহন শ্রমিকরা বারবার প্রমাণ দিচ্ছে, সাধারণ মানুষের জন্য তাদের কোনো দায় নেই। আমরা পরিবহন শ্রমিকদের এমন আকস্মিক অবরোধ-ধর্মঘটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তাদের এসব দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রণে সিলেটের প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কঠোর হস্তক্ষেপ চাই। নিশ্চয় তারা আইনের উর্ধ্বে নয়।
এরআগেও এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সুরমার তেতলি পয়েন্টে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল পরিবহন শ্রমিকরা।

You might also like